বৃষ্টির জলে নিভে গেল চোখ
অঙ্কুর কুন্ডু
কাল
রাত বারোটায় বা বারোটা পাঁচে কিংবা বারোটা দশে
.
. . বারো-কে যখন ছোট কাঁটা ছুঁয়ে ছিল , হঠাৎ
তখন
নেমেছিল বৃষ্টিটা বা নেমেছিল বৃষ্টিগুলো
নুপুরের
ঝুম্-ঝুম্ শব্দে অথবা রাস্তায় হাঁটা
জীবন্ত
মানুষের মাথা বেয়ে ঝম্-ঝম্ শব্দে ৷
দালান
গিয়েছে ভিজে , চারিদিকে জুঁই-এর গন্ধ ,
দালান
রয়েছে একা , চারিদিকে জুঁই-এর গন্ধ ,
প্রশ্বাস
নেই ! ভিজে ঝোপ থেকে কিছু নরম ডানার মশা
দুর্বিপাকে
পাক খাচ্ছে সাড়ে তিন হাত উঁচুতে
ফ্যাতাড়ুদের
মত ৷ কাল বৃষ্টি হয়েছিল অবিরত ৷
চার-পাঁচটি
পিঁপড়ে আরও পাঁচ-ছয়টি পিঁপড়েদের
সাত-আটটি
পিঁপড়ে ডাকতে বলে এগিয়ে গেল -
নরম
মাটির ওপর ওদের পা কোনো ছাপ রাখেনি ,
অথচ
ওদেরও শরীরের ওজন আছে
মানুষের
মত –তবু বৃষ্টি ওদের অস্বীকার করেছে ৷
বৃষ্টিটা
মাটির সাথে আটকে আছে এবং
রোদের
সাথে আড়ি করেছে আজ সকালে , অথবা
আবার
আজ ঝরবে বলে গুমরে আছে মেঘের কোলে ,
কাল
এভাবেই গুমরে ছিল বাউল ঐ দালানের
ঐ
দেওয়ালে ; আজও আছে ঐ দালানের ঐ দেওয়ালে ৷
একতারাটি
হাতের কাছেই , হাতের পাশেই ,
তবু
আঙুল থেকে দূরে ৷ বাউল আর বাঁধবে না সুর
তাই
তো গেল সরে –
নিঃসঙ্গতা
বোধহয় এভাবেই জীবন কেড়ে নেয় ,
যেমন
হঠাৎ বৃষ্টি এসে চোখ বুজে দেয় ৷