কলকাতা -জানালার বাইরে কত কথা
অঙ্কুর কুন্ডু
জানালাটা
চোখের মণির ওপর গরাদ দিয়েছে ,
বিকেলের
শেষ রোদে কলকাতা আরও একজোড়া
চোখ
পেয়েছে –বিকৃত ; কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা হবে . . .
প্রসবযন্ত্রনার
মতোই ছটফট করবে পিচের রাস্তা ও ট্রামলাইন !
কলকাতা
শেষ কোন রাতে প্রসব করেছে !
শেষ
কবে এই শহর শিশুর মতো খেলায় মেতেছে !
রামদুলালের
বিপরীতে মহিষের মোটা দুধ
পাওয়া
যায় . . . কলকাতা শহরে দুধ ও জলের বিতর্ক
নেই
; প্রশ্ন একটাই –যে মহিষ দুধ দেয় ,
সে
কি মোটা ?
এসপ্ল্যানেডের
মোড়টা পেরিয়ে সেদিন দেখলাম
রাস্তার
এককোণে জল উপচে পড়ছে ; কলকাতা
বৃষ্টি
ভুলেছে বেশ কয়েকদিন . . .
পৌরসভাও
আগুন নেভাতে জল করেছে বেশ অনেকটা !
কলকাতা
বিধবা নারীর মতোই লোভী নিরামিষাশী !
সে
একবারই জ্বলতে চেয়েছিল সহমরণে !
মাঝরাতের
রাস্তা নিস্তব্ধ ; যেন কলকাতা পূর্বাভাস পেয়েছে –
বিদ্রোহীরা
বিশেষ বিশেষ জায়গায় কেরোসিন ঢেলেছে , তাই আজ
ভোরর
আগে একটিও হর্ন নেই ; প্রশ্নটা উঠেই এল ,
উপচে
আসা জল কি দীর্ঘদিনের পচা কেরোসিন ?
রাত
এলেই শহরটা যায় বদলে ; ফিরে আসে
একাকীত্ব
পাখিদের ঘরে ফেরার মতোই ৷
আগামী
সকাল কলকাতার ক’জন মানুষই বা দেখবে -
যারা
রইলো তারা . . .
কলকাতা
শহরের ট্র্যাজেডি গলা কঁকিয়ে দেয় !
দেখি
সুলগ্নাও হাঁটু মুড়ে মাথা নীচু রেখেছে !
যে
শহর অফিস-টাইমে অভিশাপ কুড়োয় -
সেই
শহরে শুনশান রাতে একটা গাড়ী ছুটে যায় ,
ভোরের
আলোয় দেখি ঠান্ডা বাতাসে খই উড়ে যায় ,
এই কলকাতা কখনও আবার চোখ ভাসিয়ে
দেয় !
No comments:
Post a Comment