Tuesday, 26 August 2014

কলকাতা -জানালার বাইরে কত কথা (৪৬)

কলকাতা -জানালার বাইরে কত কথা
অঙ্কুর কুন্ডু
             
         জানালাটা চোখের মণির ওপর গরাদ দিয়েছে ,
         বিকেলের শেষ রোদে কলকাতা আরও একজোড়া
         চোখ পেয়েছে –বিকৃত ; কিছুক্ষণ পরেই সন্ধ্যা হবে . . .
         প্রসবযন্ত্রনার মতোই ছটফট করবে পিচের রাস্তা ও ট্রামলাইন !
                 কলকাতা শেষ কোন রাতে প্রসব করেছে !
                 শেষ কবে এই শহর শিশুর মতো খেলায় মেতেছে !
         রামদুলালের বিপরীতে মহিষের মোটা দুধ
         পাওয়া যায় . . . কলকাতা শহরে দুধ ও জলের বিতর্ক
         নেই ; প্রশ্ন একটাই –যে মহিষ দুধ দেয় ,
         সে কি মোটা ?

         এসপ্ল্যানেডের মোড়টা পেরিয়ে সেদিন দেখলাম
         রাস্তার এককোণে জল উপচে পড়ছে ; কলকাতা
         বৃষ্টি ভুলেছে বেশ কয়েকদিন . . .
         পৌরসভাও আগুন নেভাতে জল করেছে বেশ অনেকটা !
                 কলকাতা বিধবা নারীর মতোই লোভী নিরামিষাশী !
                 সে একবারই জ্বলতে চেয়েছিল সহমরণে !
         মাঝরাতের রাস্তা নিস্তব্ধ ; যেন কলকাতা পূর্বাভাস পেয়েছে –
         বিদ্রোহীরা বিশেষ বিশেষ জায়গায় কেরোসিন ঢেলেছে , তাই আজ
         ভোরর আগে একটিও হর্ন নেই ; প্রশ্নটা উঠেই এল ,
         উপচে আসা জল কি দীর্ঘদিনের পচা কেরোসিন ?

         রাত এলেই শহরটা যায় বদলে ; ফিরে আসে
         একাকীত্ব পাখিদের ঘরে ফেরার মতোই ৷
         আগামী সকাল কলকাতার ক’জন মানুষই বা দেখবে -
         যারা রইলো তারা . . .
                 কলকাতা শহরের ট্র্যাজেডি গলা কঁকিয়ে দেয় !
                 দেখি সুলগ্নাও হাঁটু মুড়ে মাথা নীচু রেখেছে !
         যে শহর অফিস-টাইমে অভিশাপ কুড়োয় -
         সেই শহরে শুনশান রাতে একটা গাড়ী ছুটে যায় ,
         ভোরের আলোয় দেখি ঠান্ডা বাতাসে খই উড়ে যায় ,

         এই কলকাতা কখনও আবার চোখ ভাসিয়ে দেয় !

No comments:

Post a Comment