Tuesday, 26 August 2014

গ্লুম : নিরাশ্রয়ী ধাক্কা (৪৭)


       
       গ্লুম : নিরাশ্রয়ী ধাক্কা
          অঙ্কুর কুন্ডু


বুকের পলকা চুল অতি ক্ষীণ ,
বুকের পশলা চুল আরও নিবিড় ;
       কালো পিচের রাস্তায় দু’একটা জালিয়াৎ ধরা পড়ে ৷
দু’পাশে যদি গাড়ি চলে যায়
বুকে হাত দিয়ে দেখি . . . আছে তো !

বাথরুমে বসে ভাবি বয়স হয়েছে অনেক ,
বাথরুমের দেওয়াল ধরে পা তুলতে ভয় পাই ,
প্রস্রাব দিয়ে ঠিকমতো রং ছড়াতে পারিনা ;
অন্ দ্য স্পট্ ঢাকনা ছুঁড়তে পারিনা ;
       সবাই কুকুর নয় , অনেকে নিশ্চয় কুকুর ৷
       অনেকে কুকুর নয় , কেউ একজন ছোট্ট বাচ্চা ৷
যদি হঠাৎ লোডশেডিং হয়
আমিও হঠাৎ ঘাড় তুলে দেখি আলো নেই
আবার নীচে তাকাই যখন , বুঝি ব্যথা বসেছে
ঘাড়ে , আলতোভাবে টিপে দেখি . . . আছে তো !

নিভৃতে আলো নড়ে , আলো দাঁড়িয়ে থাকে
নিভৃতে চোখ কাঁপে , চোখ কেঁপে যায় ;
আজকাল –বয়সটাও নিস্তব্ধ -
কোনও বছরে জ্বলে না মোমবাতি , অথচ
জ্বলছে নুড়ো , গিলছে মুড়ো , আগের মতোই
রাস্তা হচ্ছি পার ঠুঁটো জগন্নাথের মতো ;
       ওয়েক-আপ্ অ্যালার্ম গড়িমসি করবে প্রতিদিন ৷
       স্নুজিং টাইম বেড়ে চলবে আস্তে আস্তে ৷
       আসতে আসতে ভিড় বাড়বে আস্তে আস্তে নয় ৷
দুঃখ থাক্, হাসি থাক্ , চোখে জল থাক্ ,
থাক্-থাক্ করে সাজানো জল
অঝোর ধারায় পড়ে যায় –
ঠিক বৃষ্টি নয়
বরং পাগলের নাক ঝাড়ার মতো -
আমিও ঝাড়তে গিয়ে দেখি . . . আছে তো !


পেপারওয়েট স্থির , পেপার স্থির ,
লেখার আঙুলগুলো নড়বড়ে , লেখা
মুষ্ঠিগত হয়না , কেবলই লাফায় ,
পালায় পিংপং বলের মত –সামনে ,
পেছনে হাত দিয়ে ডাকি
শরীরে ঘূর্ণিঝড় , কেবলই বমিভাব ;
পেছনে হাত দিয়ে ডাকি
শরীরে প্রতীপ-ঘূর্ণবাত , তাই বমি-বমিভাব ;
       কলকাতা স্পিন করছে , কখনও অফ্ ,
       কখনও অন্ , সবসময় গো অ্যান্ড্ গন্ -
       তাই এসেছে দুসরা , অনেক ভেল্কি ;
       উল্কি আর রইলো না শরীরে , শরীর বিক্রি হয়েছে ৷
এখন তাই বুক দেখতে ভয় পাই ;
আঁকতে ভয় পাই ; শুধরোতে ভয় পাই ;
ভয় পাইনা ঐ রাস্তার ধারে মনীষাময়ী হতে
এবং তখনই চেঁচিয়ে বলি
আমর খাবার চাই , ভিক্ষা নয় ৷
আমার জল চাই , বৃষ্টি নয় ৷
আমার চাই , চাই-ই , ‘চাঁই’
শরীরে হাত দিয়ে দেখি . . . আছে আর নাই . . .

No comments:

Post a Comment