গ্লুম : নিরাশ্রয়ী ধাক্কা
অঙ্কুর
কুন্ডু
বুকের পলকা
চুল অতি ক্ষীণ ,
বুকের পশলা
চুল আরও নিবিড় ;
কালো পিচের রাস্তায় দু’একটা জালিয়াৎ ধরা পড়ে
৷
দু’পাশে
যদি গাড়ি চলে যায়
বুকে হাত
দিয়ে দেখি . . . আছে তো !
বাথরুমে
বসে ভাবি বয়স হয়েছে অনেক ,
বাথরুমের
দেওয়াল ধরে পা তুলতে ভয় পাই ,
প্রস্রাব
দিয়ে ঠিকমতো রং ছড়াতে পারিনা ;
অন্ দ্য
স্পট্ ঢাকনা ছুঁড়তে পারিনা ;
সবাই কুকুর নয় , অনেকে নিশ্চয় কুকুর ৷
অনেকে কুকুর নয় , কেউ একজন ছোট্ট বাচ্চা ৷
যদি হঠাৎ
লোডশেডিং হয়
আমিও হঠাৎ
ঘাড় তুলে দেখি আলো নেই
আবার নীচে
তাকাই যখন , বুঝি ব্যথা বসেছে
ঘাড়ে , আলতোভাবে
টিপে দেখি . . . আছে তো !
নিভৃতে আলো
নড়ে , আলো দাঁড়িয়ে থাকে
নিভৃতে চোখ
কাঁপে , চোখ কেঁপে যায় ;
আজকাল –বয়সটাও
নিস্তব্ধ -
কোনও বছরে
জ্বলে না মোমবাতি , অথচ
জ্বলছে নুড়ো
, গিলছে মুড়ো , আগের মতোই
রাস্তা হচ্ছি
পার ঠুঁটো জগন্নাথের মতো ;
ওয়েক-আপ্ অ্যালার্ম গড়িমসি করবে প্রতিদিন ৷
স্নুজিং টাইম বেড়ে চলবে আস্তে আস্তে ৷
আসতে আসতে ভিড় বাড়বে আস্তে আস্তে নয় ৷
দুঃখ থাক্,
হাসি থাক্ , চোখে জল থাক্ ,
থাক্-থাক্
করে সাজানো জল
অঝোর ধারায়
পড়ে যায় –
ঠিক বৃষ্টি
নয়
বরং পাগলের
নাক ঝাড়ার মতো -
আমিও ঝাড়তে
গিয়ে দেখি . . . আছে তো !
পেপারওয়েট
স্থির , পেপার স্থির ,
লেখার আঙুলগুলো
নড়বড়ে , লেখা
মুষ্ঠিগত
হয়না , কেবলই লাফায় ,
পালায় পিংপং
বলের মত –সামনে ,
পেছনে হাত
দিয়ে ডাকি
শরীরে ঘূর্ণিঝড়
, কেবলই বমিভাব ;
পেছনে হাত
দিয়ে ডাকি
শরীরে প্রতীপ-ঘূর্ণবাত
, তাই বমি-বমিভাব ;
কলকাতা স্পিন করছে , কখনও অফ্ ,
কখনও অন্ , সবসময় গো অ্যান্ড্ গন্ -
তাই এসেছে দুসরা , অনেক ভেল্কি ;
উল্কি আর রইলো না শরীরে , শরীর বিক্রি হয়েছে
৷
এখন তাই
বুক দেখতে ভয় পাই ;
আঁকতে ভয়
পাই ; শুধরোতে ভয় পাই ;
ভয় পাইনা
ঐ রাস্তার ধারে মনীষাময়ী হতে
এবং তখনই
চেঁচিয়ে বলি
আমর খাবার
চাই , ভিক্ষা নয় ৷
আমার জল
চাই , বৃষ্টি নয় ৷
আমার চাই
, চাই-ই , ‘চাঁই’
শরীরে হাত
দিয়ে দেখি . . . আছে আর নাই . . .
No comments:
Post a Comment