ফিরিয়ে দেব আমি
অঙ্কুর কুন্ডু
কথা হয়েছিল সাদা শঙ্খধ্বনি ঘামরূপে বয়ে
যাবে
তোমার-আমার
লোমকূপে , যেখানে হাত পাতবে
শ্যাওলা
মেঘ অন্তরীক্ষের সমীপে –
মুষ্টিবদ্ধ
কিছু সব্যসাচী এগিয়ে যাবে
কোনো
এক এসপ্ল্যানেডের মোড়ে ,
ছুঁয়ে
যাবে প্রতিটা মাথা রক্তক্ষয়ী আদরে ৷
তোমাকে
. . তোমাকে . . তোমাকে প্রশ্ন করেছি বহুবার –
একবার
উত্তর পেয়েছি , শর্ত দিলে কিছু পাওয়ার
আকাশ
ফুঁড়ে বলেছিলাম আমি আছি !
পুরানো
অনেক পাথর ফেটে গেছে কবরখানায়
কেউ
মস্তকহীন খবর , যারা আছে তারা হাঁপায়
কাল
যারা চলে গেল তারা যাযাবর –
বেড়ি-বাঁধা
কতিপয় পা হেঁটেছিল
দৃপ্ত
কন্ঠের মাঝে বিরতি না রেখে
যাদের
শরীর পড়ে ছিল সাদা থানে ঢেকে ৷
বহু
রাত আমি একা হেঁটেছি কু-য়া-শা-র সাথে –
আলতো
পা-এর ভরে , ক্লান্ত চোখ প্রতি রাতে
দেখেছে
ফুটপাথ ক্রমশ যাচ্ছে সরে ৷
আঁতুড়ঘরে
সময় নষ্ট হয়েছে অনেক
কান্নার
ডাকে , দরজার বাইরে প্রত্যেক
মানুষ
একজনকেই খোঁজে . . . কাকে !
হাতে
যারা স্বপ্ন বন্দী করেছে
ও
হাওড়া ব্রিজের দিকে তাকিয়ে
বুক
বেঁধেছে , গঙ্গার বুকে তারা ভেসে গেছে ৷
রেললাইন
ধরে এগিয়েছি দিনের আলোয় –
কয়েকটি
পাথর সাথে নিয়ে , চারিদিকে প্রলয়
তবু
ঐ শরীরটা মরেছে জন্ম দিয়ে !
কথা
হয়েছিল জানালার বাইরে চোখ রেখে
রাতটা
দেব কাটিয়ে , ঘাড়ের ওপর মুখ ঢেকে
যারা
চলে গেল সকালের আগে তারাই দিল নাড়িয়ে !
ব্যাগ-কাঁধে
স্কুলে ছুটির ঘন্টা
না
মেনে দৌড়ায় কিশোর
লাশগুলো
রাত চায় , সে চায় ভোর ৷
অতর্কিতে
অল্প আলো ধাক্কা দিয়ে –
গড়তে
চায় সমভূমি , সব কান্না সাথে নিয়ে
ভোরবেলায়
আগামী ফিরিয়ে দেব আমি !
No comments:
Post a Comment