আশ্রয় –শেষ সাশ্রয়
অঙ্কুর কুন্ডু
সকালে
ঘুম ভাঙলেই কানে আসে ঐ বুড়ো ফেরিওয়ালার ডাক ৷ অত্যন্ত কর্কশ
এবং
সরস; অমুক চায় , তমুক চায় করে হাঁকে !
জানালার
মশারিতে আঙুল রেখে
খেলি
‘ইকির-মিকির-চাম-চিকির’
“খেলনা
নখ চায় , এই একপিস্ মশারির দড়ি”
‘চামের
কাঁটা’
লোকটির
আঙুলটা দেখতে ইচ্ছে করছিল ,
ওর
আঙুলে কি মোটা চামড়া
সলগ্নার
পায়ের কুলাটির মতোই ?
“খেলনা গন্ডার চায়”
ও
অনার্যগোষ্ঠী !
সকালে
ঘুম ভাঙতেই কানে আসেনি ঐ বুড়ো ফেরিওয়ালার ডাক ৷ তার
আগেই
নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম ওকে দেখার জন্য ! ও সন্তানহীন !
“কিছু
নিবেন ?”
(না
–বলব ভেবেও বলিনি)
‘হ্যাঁ
, মশারির দড়ি কত ?’
“ও
নাই , আজ মুখোশ এনেছি”
(কেন
–জিজ্ঞাসা করিনি)
‘গতকাল
তো ছিল !’
“আজও
আছে , বাড়ির মশারিতে”
গতকাল
রাতে ডিভোর্স পেপার পেয়ে
মুখ
দেখিনি আয়নায় ; মুখোশটা নিলাম কিনে !
সকালে
ঘুম ভেঙে শুনি এক ফেরিওয়ালার ডাক ৷ ও যে নয় , তা এই
বসা
স্বর শুনেই বুঝেছি ৷ নীচে গিয়ে দেখি সেই বুড়ো ৷
‘ঐ
তো মশারির দড়ি
সুতো
ওঠা , বেআব্রু শরীর কেন ?’
“বউয়ের
গলা থেকে টানতে গিয়ে”
বউ
তো আমার
ছিল
‘তোমার
বউ ভালো আছে ?’
“গত
পরশু অনেকক্ষণ ঝুলে
কালো
ও নীল . . . ভালো আছে ,
গতকাল
বলিনি ছোঁয়া লাগে পাছে”
সাশ্রয়
টিকিয়ে দিল বুড়োটার শেষ অজানা আশ্রয় –বউ ও মুখোশ ৷
ওর
চেনা আশ্রয় কোমরে গোঁজা ! ডিভোর্স হল , পরের সকাল
এল
; নীচে না নেমে ‘. . .মজুমদার . ধেয়ে এল. . .’
No comments:
Post a Comment