সাবলিমিটি –শেষ পথ
অঙ্কুর কুণ্ডু
সিঁড়ি
বেয়ে ছায়া উঠে এলে -
ঋতুপর্ণা
দরজা খুলে দিত ,
একরঙা
ছায়া উঠোন ডিঙোলে -
সিঁড়ির
ওপর থাপ্পর পড়ত ৷
শালের
লোমে কানের দুল আটকে
ঋতুপর্ণা
চিল-চিৎকার জুড়লে, ওর ঠোঁট
উড়ন্ত
চিলের মতই টানটান হত৷ চিলের
নখের
মতই তীক্ষ্ণতায় ঋতুপর্ণা দেহে
আঁক
কাটলে ট্রামলাইনের খোপে জমে
যাওয়া
ধূলোরা বিদ্রোহ করে ওঠে, ওদের
উড়ে
যাওয়ার পথে ঋতুপর্ণার স্নিকার্স চুমু দিলে ,
ওরা
নিস্তেজ হয়ে একে অপরের পেটে ঢুকে যায় ৷
বিগ্
বেনের শহরে তোমার নামে ব্যাঙ্ক্ খুলে
গোছা-গোছা
ড্রইং-বুক ঢোকানোর কথা ছিল !
তোমার
ঝরে পড়া চুলের মুঠোতে রং ভরে
খেলনার
ছলে ঝুলন্ত দাড়ি বানিয়েছিলাম ,
সেই
দাড়ির শেষভাগ বুকের কাছে থমকেছিল ৷
ঐ
বুকে তোমার চেয়ে থাকা, শুয়ে থাকা -সবই
ছিল
ভরা ঐ ড্রইংবুকে ৷ বাকী ছিল তোমার পিঠ
ছুঁয়ে
ক্যানভাসগুলো সিমা গ্যালারিতে তুলে দেওয়া…
ঋতুপর্ণার
খোলা দরজা দিয়ে -
যারা
ভেতরে আসছে ,
তারা
সকলেই ওর সন্তান , ঋতুপর্ণা মা ;
এর
বেশি আর এগোনো যায় না ৷