আমি এখনও ব্লগটি পুরোপুরি সাজাতে পারিনি , তাই এটা প্রকাশও করিনি আপনাদের কাছে ৷ কিন্তু যেদিন ব্লগটি সম্বন্ধে আপনারা জানবেন , সেদিনের জন্য কিছু কথা :
এই ব্লগের প্রায় প্রতিটি লেখাই কোনও না কোনো Printed Magazine বা Web Magazine বা Digital Magazine-এ প্রকাশিত হয়েছে ৷ তাই লেখাগুলির 'Copyright'-জাতীয় কোনো বক্তব্য তুলে ধরলাম না ৷ ধন্যবাদ ৷
সাজানো-গোছানো
একটা ঘর ৷ পল্লব সোফায় বসে , পাশেই তার সখের অ্যাকোয়ারিয়াম ৷ সারা ঘরের আলোর শক্তি
ঐ বড়ো অ্যাকোয়ারিয়ামটার মধ্যে থাকা কখান ছোট্ট গৌরামির(মাছ) সমান ৷ বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি
হচ্ছে পল্লব অন্যমনস্ক হয়ে গৌরামিকে জল থেকে তুলছে ও জলে ফেলে দিচ্ছে . . . ঘরের খোলা
দরজা দিয়ে আঁখি ঢুকে এল-
পল্লব : (অন্যমনস্কভাবে) গৌরামি তো একাই ছিল , ওর সাথে
. . . (সচেতনভাবে) ও তুই এসে পড়েছিস ! আয় , হ্যাঁ , কি যেন বলছিস ?
আঁখি : (কপাল কুঁচকে) কনীনিকা , ক্রন্দন , তারা , নয়ন
, মণি –এরা আসেনি কেন এখনও ! আসবে বলেছিল তো ? আর মাত্র দুই সপ্তাহ , তার মধ্যেই তো
নাটকটি নামাতে হবে , প্রোডাকশনের কাজ কতদূর ?
পল্লব : চলছে ৷ চা খাবি ?
আঁখি : (বিরক্তির সুরে) শেষের দিকে এসে তোমার এই গা-ছাড়া
ভাবটা নেওয়া যায় না !
পল্লব : অতি শক্তিশালী মহিলাদের ছাড়া শেষের দিকটা কখনও
কি আঁটোসাঁটো হয় ? শেষ তো আসেই একটা . . . (দীর্ঘশ্বাস)
আঁখি : দু’বছর তো . . .
পল্লব : (আঁখির কথা শেষ হতে না দিয়েই) দু’বছর তো খুব
কম সময় একটা মানুষকে ভুলে যাওয়ার জন্য ৷
আঁখি : তুমি তাহলে এভাবেই নিজেকে ভাঙতে শুরু করলে
? যদি এরকমই ইচ্ছা ছিল , তবে ছ’সাত মাস আগে আমাদের এই দলে নাম লেখাতে এসেছিলে কেন
? (রাগতস্বরে) এইভাবে চললে তো দর্শন নাট্যদল একদিন উঠে যাবে !
আঁখির চোয়াল ক্ষীণভাবে শক্ত হয়ে উঠল ৷ পাশের ঘরে ঢুকে ও
নিজেই নিজের স্ক্রিপ্টটা বলতে শুরু করল , এই ঘরে পল্লব একাই নিজের মনে আওড়াতে শুরু
করল ওর ভুলতে না পারা ভুলগুলো ৷
দ্বিতীয় দৃশ্য
ক্রন্দন ও নয়ন বাসস্টপে ঠাঁই দাঁড়িয়ে ৷ মুষলধারে বৃষ্টির
ফোঁটার সংখ্যা এত বেড়েছে যে অসমানানুপাতে বাসের সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে ৷ দেরী হওয়ায়
ক্রন্দন বিরক্ত আছে , তার সঙ্গে ন্যাকা নয়নের বকবক ৷ আসলে নয়ন আঙ্গিকগত পুরুষ হলেও
ওর অঙ্গি-ভঙ্গি একজন মহিলার মতোই –
নয়ন : দ্যাখ্ তো , দুপুর থেকে টাচ্ দিতে বসলাম আর
বিকেলে এই অনামুখো বৃষ্টিটা আমার মেক্-আপে স্ক্র্যাচ্ করে দিল ৷
ক্রন্দন : বিরক্তিকর !
নয়ন : আমাকে দেখলেই তুই ভ্রু কুঁচকাস্ কেন ? আমি কি
অচ্ছুত ?
ক্রন্দন : বাড়িতে তো মেক-আপের আয়নাটা আছে , তার সামনে দাঁড়িয়ে
কথাটা জিজ্ঞাসা করিস ৷ জন্মেছিস কেন , সেটাই ভাবি . . .
নয়ন : এই চিন্তাটা করে তোর লাভ নেই ; বৃষ্টি পড়ছে
তো ! এরপর তুই মাথা ঘামালেও তা বোঝা যাবে না ৷
এরপর আঁখি ছাড়া তিনজনেই নিজেদের স্ক্রিপ্ট নিয়ে ব্যস্ত
হয়ে উঠল ৷ আঁখি গেল পল্লবের ঘরে ৷ এখনও সবাই আসেনি ! পল্লবের কাছে ওর জীবনের কথাগুলো
এখনও পুরোটা শোনা হয়নি আঁখির , আজ হয়তো কিছুটা শোনা যাবে ! আঁখিকে দেখেই পল্লব আঁচ
করেছিল , চেয়ারটা টেনে দিল ওকে ৷
দ্বিতীয় অঙ্ক : প্রথম দৃশ্য
পল্লব : ২০১০-এর গোড়ার কথা , তখন আমি বিদ্যাসাগর কলেজের দিবাবিভাগে পার্ট-টাইমার
হিসাবে পড়াতে ঢুকেছি ৷ ব্যবসা করার মত টাকা ছিল না পকেটে , বাবাও বলে দিলেন যে ব্যবসার
পিছনে টাকা ঢালার মত পুঁজি তাঁর নেই ৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে দ্রুতই মার্কশীটের সদ্ব্যবহার
করে ঢুকলাম কলেজ চত্বরে ৷
পল্লব : অরাজি ঠিক না ৷ একবার ভেবেছিলাম ব্যবসা করব
, আবার ভাবি , নাহ্ ! ঝুঁকিহীন কাজই ভালো ৷ এভাবে এগোতে-পিছোতে গিয়ে দেখি জুতোটাই হারিয়ে
গেল , অগত্যা . . .
গৌরামিকে নিয়ে খেলতে খেলতে হঠাৎই ও মেঝেতে পড়ে গিয়েছিল
৷ আঁখি এতক্ষণে দেখতে পেয়ে ওকে অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখলো ৷
আঁখি : তারপর ?
পল্লব : কলেজের তৃতীয় দিনে একটা কাজে গড়িয়ায় গিয়েছিলাম
, দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের কাছেই৷ অটোর জন্য দাঁড়িয়ে আছি , দেখি কলেজের সামনে চার-পাঁচজনের
জটলা , ভিড় ঠেলে দেখলাম এক ভদ্রমহিলা রাস্তায় পড়ে !
আঁখি : সুলগ্না বৌদি ?
পল্লব : না ৷ একজন সুন্দরী এবং মানসিক ভারাম্যহীনা ৷
ওনাকে এক যুবতী সাহায্য করছিলেন ৷ তারপর সে ধীরে ধীরে জটলা ছেড়ে বেরিয়ে গেল ৷
দ্বিতীয় দৃশ্য
পল্লব : সুলগ্না , সু . . .
সুলগ্না : কে ? আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না ! আমার নাম
জানলেন কি করে ?
পল্লব : না , আসলে ঐ আপনার বান্ধবী এই নামেই তো আপনাকে
ডেকে . . .
সুলগ্না : কি ? তার মানে আপনি আমাকে ফলো করছেন ? কি সাহস
! ডাকবো রাস্তার লোকজনদের ?
পল্লব : আপনি আমার কথাটা একবার শুনুন ৷
সুলগ্না : কি শুনবো ? অজুহাত ?
পল্লব : না ৷ আপনাকে আমি . . . আমি অনেকদিন ধরেই দেখছি
৷ (মাথা নীচু করে) আপনাকে আমার ভালো লাগে ৷
সুলগ্না : অনেকদিন মানে ?
পল্লব : আপনি তো প্রতি শুক্রবার কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়ায়
ঘোরাঘুরি করেন !
সুলগ্না কিছু বলতে যাবে , তাকে থামিয়েই –
পল্লব : ঠিক আছে , আপনি সময় নিন ৷ আমি আপনাকে ফোন নম্বরটা
দিয়ে গেলাম
(একপ্রকার জোর করে পল্লব সুলগ্নার ব্যাগে একটি চিরকুট গুঁজে
দিয়ে দৌড়ে পালালো) ৷
তৃতীয় দৃশ্য
শুক্রবারের এক দুপুরে কলেজ স্ট্রিটের ‘কথা ও কাহিনী’ বই-এর
দোকানে সুলগ্না বই উল্টে-পাল্টে দেখছে –
পল্লব : এক মাস হতে চললো , কি ভাবলেন ?
সুলগ্না : (চমকে ঘাড় ঘুরিয়ে) আপনি কেন এরকম করছেন ?
পল্লব : আচ্ছা দু’জনে বসে তো চা খাওয়া যায় ?
সুলগ্না : ধরে নিন , চা খেতে গেলাম ৷ তারপর , আপনার প্রস্তাবে
রাজিও হলাম সেই জায়গায় বসে যে জায়গাটা আট মিনিট আগেও আমার কাছে অজানা ছিল ৷ পাঠকরা
কি নাটকটা মেনে নেবে ? কোথাও তো ওদের ছন্দ কাটবে ! ওদের তো মনে হতেই পারে যে কী করে
আমি এত তাড়াতাড়ি এইরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছালাম ! (হাঁটতে শুরু করে) আসুন ৷
সুলগ্না ও পল্লব কফি হাউসের দিকে এগোতে লাগলো ৷
চতুর্থ দৃশ্য
পল্লব ও সুলগ্না পরস্পরকে নিজেদের সম্বন্ধে জানাতে জানাতে
কফি হাউস অতিক্রম করে , বিধান সরণীর দিকে এগিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজের গলির মুখের বিপরীত
প্রান্তের একটি চা-এর স্টলের বেঞ্চে বসলো এবং সুলগ্না নয় , পল্লব নয় , দু’জনেই মাটির
ভাঁড়ে চা-এর অর্ডার দিল ৷
পল্লব : তাহলে পুরো ঘটনাটা আপনার কাছে দুই মলাটের মধ্যে
থাকা নাটক মনে হচ্ছ ?
দুজনেই চা-এর ভাঁড় হাতে নিল ৷
সুলগ্না : হ্যাঁ ৷ (একটু থেমে) এতটা হেঁটে আসা বা এখানে
চা খাওয়াটা বাদে ৷
পল্লব : আমি আপনাকে ভালোবাসি ৷
সুলগ্না : প্রায় একমাস হয়ে গেল , এগোতে পারেননি ?
পল্লব : আপনাকে বিয়ে করতে চাই ৷
সুলগ্না : তরপর ?
পল্লব : ভালোবাসা হওয়ার পরে বিয়ের কথা বলেছি ৷ বিয়ের
পরর কথা বিয়ের পরে . . .
সুলগ্না : আপনার ট্রেন আছে এখন ?
ওদের পাশে , রাস্তায় , একটা ট্রাম যাচ্ছে ৷
পল্লব : তাড়াতাড়ি তো থাকবেই ৷ নাহলে দেখবেন বয়স বাড়ছে
এবং ‘কবে যেন তারপর শ্মশান চিতায় তার হাড় ঝরে গেছে’ !
সুলগ্না : ট্রাম দেখে মনে পড়লো ?
পল্লব : খুব বেশিদূর যেতে হবে না ৷
সুলগ্না : কিন্তু পাঠকরা . . .
পল্লব : ওরা ধরে নেবে যে নাট্যকার ‘ইউনিটি অব্ টাইম্’-কে
‘কম প্রমিস্ (Com Promise)’ করে , তার সাথে কম্প্রোমাইজ্ (Compromise) করেছে !
এরপর দু’জনেই আনমনে ভাবতে ভাবতে বাড়ি ফেরে , এবং কিছুদিন
পরে তারা বিয়ে করে নেয় ৷
তৃতীয় অঙ্ক : প্রথম দৃশ্য
পল্লব : দুই বাড়িতেই এই বিয়ে মানা হয়নি ৷ যথারীতি আলাদা
জায়গায় বসবাস . . .
আাঁখি : এরপর থ্রিল এল ?
পল্লব : হ্যাঁ , আমাদের একমাত্র ছেলে থ্রিল , ওটা ওর
ডাকনাম ৷ সুলগ্না ও পল্লব-এর থেকে তিনটি ‘ল’ ধার নিয়ে নামটি রেখেছিলাম ৷
এরপর দুজনেই বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে ৷
দ্বিতীয় দৃশ্য
আঁখি ও পল্লব-কে ছাড়া সকলে পাশের ঘরে স্ক্রিপ্ট সামনে রেখে
, নিজেদের মধ্যে আড্ডা মারছে ৷
কনীনিকা : গতকাল চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম ৷
তারা : হ্যাঁ , তো ?
কনীনিকা : যেখানে ঐ সিংহটা থাকে , মানে . ঐ ঝোপেরটা নয় কিন্তু
৷
ক্রন্দন : লোহার গরাদের ভেতরেরটা তো ?
কনীনিকা : হ্যাঁ , ওটাই ৷ আমি সিংহটাকে দেখে পিছনে ফিরে দেখি
যে একজন বেঁটে লোক আমার দিকে বড়ো বড়ো চোখে চেয়ে আছে , এবং ওর গা থেকে একটা অপূর্ব মাদকতার
সৌরভ আমাকে আঁকড়ে ধরছিলো ৷
ক্রন্দন : অ্যাঁ . . .
কনীনিকা
: হ্যাঁ , যদিও আমার মাথা ধরে গিয়েছিলো ঐ গন্ধে , কারণ মদের গন্ধ আমার সহ্য হয় না ৷
লোকটি বেদম টেনেছিলো , কত পাঁইট কে জানে ! তার উপর বকে বকে আমার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছিলো
৷ উফ্ ! কী বিকট অভিজ্ঞতা !
তৃতীয় দৃশ্য
বেঁটে
লোক : উরিব্বাস্ , এ তো খাঁচার বাইরে এসে গেছে
৷
বেঁটে লোকটি পকেট থেকে একট ছোট্ট , ছোট্
এবং আরও ছোট্ট , মরচে ধরা ছুরি বের করে –
বেঁটে
লোক : এটা দিয়ে তোমাকে আটকানো যাবে ?
কনীনিকা দেখলো যে এ তো বেগতিক ! হঠকারিতা
করলে তার একটু হলেও ক্ষতি হবে ৷
কনীনিকা : (শান্ত স্বরে) আপনি একা এসেছেন ?
বেঁটে
লোক : না , বাবা ও মা-এর সাথে এসেছি চুসতে চুসতে
. . . লজেন্স ৷
কনীনিকা : আহ্ , আপনি রেগে যাচ্ছেন কেন ?
বেঁটে
লোক : আমি কাঁপছি ?
কনীনিকা : কেন ?
বেঁটে
লোক : তোমার মনে হচ্ছে যে আমি তোমাকে মারবো
?
কনীনিকা : না ৷
বেঁটে
লোক : আমার চোখগুলো কি লাল হয়েছে ?
কনীনিকা দেখতে পাচ্ছে যে চোখ দু’টি লাল
৷ তাও নিজেকে ভালো প্রমাণ করবে ভেবে –
কনীনিকা : না ৷
বেঁটে
লোক : (মারাত্মক রেগে গিয়ে) কি ? লাল হয়নি
? এ নিয়ে আমার দুটো বোতল শেষ , আর তুমি ফাজলামি করছো ?
কনীনিকা : (কাঁচুমাঁচু হয়ে) আমি তো এমনি . . .
বেঁটে
লোক : হে হে , সিংহী মামি তো দেখছি সলিড ভয়
পেয়েছে ৷
কনীনিকা
: (একান্তে) আমি তো জানতাম যে মদ খেলে মানুষের
অনেক কিছু হয় ৷ কিন্তু , তা বলে মানুষের সাথে জন্তুর পার্থক্য বোঝা যায় না ! বাব্বা
, মহাদেবের কী মহিমা !
বেঁটে
লোক : তুমি তো পাগলও ! নিজের সাথেই কথা বলছো
! কোনোদিন বুঝি নিজের সাথে কথা বলোনি ?
চতুর্থ দৃশ্য
মণি : তারপর ?
কনীনিকা : বাবা আমাকে দেখতে পেয়ে যেই কাছে এলো , লোকটি পালালো
৷
ক্রন্দন : লোকটির শেষ প্রশ্নের উত্তর দিলি না ?
কনীনিকা : কী উত্তর দেবো ! নিজের সাথে নিজে কখন কথা বলবো
? আর বলে কী হবে !
সবাই ভাবুক হয়ে আবার স্ক্রিপ্টে নজর দিল
৷
পঞ্চম দৃশ্য
নিস্তব্ধতা ভাঙলো আঁখি –
আঁখি : থ্রিল চলে গেল কীভাবে ?
পল্লব : (অ্যাকোয়ারিয়ামের দিকে আঙুল রেখে) যেভাবে গৌরামি
চলে গেল ৷
আঁখি : (চমকে) এ বাবা ! গৌরামি , গৌরামি কী করে .
. . ইস্ . . . এক্ষুণি তো . . .
পল্লব : তুই গৌরামিকে তুলে যখন জলে দিলি , তার আগেই ও
মার গিয়েছিলো , নীচে ৷
আঁখি : তখন তো কিছু বলোনি ?
পল্লব : সব মৃত্যুই তো মানুষকে থমকে দেয় , একটু হলেও
৷ প্রথমে সুলগ্না , তারপর থ্রিল , তারপর গৌরামি , আর তারপর আমি !
আঁখি : এসব কী বলছো ?
পল্লব : (হেসে) জীবনটা তো দুই মলাটের মধ্যে থাকা নাটক
, বলা যায়না ৷ নাট্যকার হয়তো পরের দৃশ্য থেকেই এক-একটা চরিত্রের হৃৎস্পন্দন বন্ধ করে
দিলো ৷ চল্ . . .
ওরা পাশের ঘরে গেল ৷
ষষ্ঠ দৃশ্য
আাঁখি হাততালি দিয়ে সকলকে একজায়গায় আসতে
বললো –
আাঁখি : যে যার পজিশন্ নে ৷
চতুর্থ অঙ্ক : প্রথম দৃশ্য
বেল বাজলো ৷ দরজা খুললো সাঁচী ৷
সাঁচী : চরিত্রের আঁখি নামেই রিহার্সাল দিলাম ৷ নয়ন
ও কনীনিকার মেক-আপ পাল্টে যথাক্রমে বেঁটে লোক ও সুলগ্না করা হল ৷ কথাদি , অবাক করেছে
তোমার লেখা প্রথম স্ক্রিপ্টটা ৷ তোমার লেখা দেখে বোঝা যাবে না যে তুমি কথা বলতে পারোনা
৷ অনেক কথা বললে , অনেক কথা বাকী . . .
কথার ঠোঁটে হাসি , ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে
দু’বার ‘আবা . . আ . .’ আওয়াজ করলো ৷