Friday, 15 August 2014

সৌমনা ও অঙ্কুর-এর দ্বিতীয় মিলিত লেখা (৩৪)


সৌমনা ও অঙ্কুর-এর প্রথম মিলিত লেখা (৩৩)


ভিখারী -কিছু না পাওয়া বাটি (৩২)


ভিখারী   -কিছু না পাওয়া বাটি
            অঙ্কুর কুন্ডু


উদ্বৃত্ত কিছু পিঁপড়ের ঠেলাঠেলি ,আর
নিজেদের ভাষায় অশ্রাব্য গালাগালি –আমের আঁটি নিয়ে !
লাল-কালো দিয়ে সাজানো জোড়াখানিক পা ছুটছে ,
নারী-পুরুষ ভুলে পিঁপড়েগুলো সম্মান বেচছে
উটকো এক পাগলা লোকের লাল মাখানো আঁটির জন্যে –
একটু খাবারের আশায় ভিখারীর কাছে তারাও হন্যে !
প্ল্যাটফর্মের দামী জুতোর আড়ালে
এক-দুই-তিন টাকার বদলে সাজানো ফাঁকা বাটি –
জানান দেয় সে ভিখারী ,
পিঁপড়েগুলো ভিক্ষা নিয়ে করে কাড়াকাড়ি !

            আমার পয়লা নম্বর সাজ –আজ
            দূর আরবে পাড়ি দেব
            হোরেশিয়ো হয়ে রেশিয়ো কষবো
            গরীব-ধনীর কচকচানির –
            আমি দু’হাত দিয়ে তুলতে যাবো
            ভিখা. . .রী. . .ভিখারীকে. . . ছিঃ !
            লাল গড়িয়ে পড়ছে ,তার মাঝে
            সূঁচালো নাকের ময়লা গলা বেয়ে নেমে তার
            খোলা বুকে –কিছুক্ষণ ঘটনার গন্ধ শুঁকে
            ফেরত গেলাম ৷ আমি ভেবেই যাবো দিনে-রাতে
            সম্রাট হবো –সময় কাটিয়ে ভিখারীর সাথে !

আজ আবার আমি ও ভিখারী ,
পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ৷ দু’হাত বাড়িয়ে –
তাকে ছুঁয়েছি , ছুঁয়েছি তাকে –হোক তা ছায়া ,
আমি কবিতা লিখে খ্যাতি পাবো
তখন চার টাকা গুনে ফাঁকা বাটিতে দেবো ৷
আজ অপেক্ষা করুক লোকটা , ভিখারী তো –
চার টাকার লোভ ছাড়বে সে :কদাচ না !
আক্ষেপ তবু আমার রইলো –
ভিখারীটি আজও অপেক্ষা করায়নি , সময় নেয়নি ;
লাল মাখানো আঁটি আর ফাঁকা বাটি যথাস্থানে ৷
সে ভিখারী , অথচ ,
পিঁপড়েগুলো ভিক্ষা নিয়ে করে কাড়াকাড়ি !


               

Thursday, 14 August 2014

সময়ের পেন্ডুলাম (৩১)


সময়ের পেন্ডুলাম
    অঙ্কুর কুন্ডু

     সময়ের পেন্ডুলামে
এক শতক বয়সের বোঝা
খাদ্য নেই , জীর্ণ দেহ । তবু
ধুয়ে চলেছে পাপ
পূর্ব হতে পশ্চিম , উত্তর হতে দক্ষিণ
ঘুরছে সে । তবুও হয়নি ক্ষীণ ।
আমাদের নৈকট্যে সেই পরিচিত –
পান্থতরু নামে অপরিচিত ।
শতক এক কিংবা দ্বি অথবা স্থির দণ্ডায়মান ,
যার ভয়ে এ বিশ্বজগৎ সতর্ক ; সে পেন্ডুলাম্ –
ঘড়ির ভেতরে সংখ্যারা দাঁড়িয়ে ।
পেন্ডুলামের দুরন্ত গতির অভ্রান্ত চাউনিতে –
সংখ্যারা তার রাজত্ব হারাচ্ছে অহর্নিশ ।
আজ ঘড়ি হল এক বিতর্ক চিত্র পৃথিবী –
আর সংখ্যার বদলে ভর্তি হিজিবিজি মানুষে ।
যাদের পরিচয় নিজেদের বিষাক্ত শ্বাস-প্রশ্বাসে –
তাও এরা সর্বশ্রেষ্ঠ । হতে পারত কনিষ্ঠ
পেটে থাকা মরা বাচ্চার মত !
সময়ের পেন্ডুলামের বার্ধক্যে স্তব্ধ গতি ,
তবুও যাচ্ছে সময় পেরিয়ে ।
মানুষের প্রচেষ্টা বর্বর হতে সময়কে এড়িয়ে ।
প্রতিযোগিতার স্বভাবে শ্রেষ্ঠ মানুষ বর্বরতার প্রতীক ,
অহিতচারী সময়-প্রকোপে ধ্বংস হবে তা সঠিক ।