ভোরের শেষ আলোছায়া
অঙ্কুর কুন্ডু
সে আর দিনের আগে আসবে না ৷
বাক্-বিতন্ডার
আঁধার যখন কাটলো
ভোরবেলায়
শুধু সেই গোয়ালা উঠলো জেগে
শুধু সেই গোয়াল রইলো শুয়ে
বিদ্ববল্লভ মহাশয় আজও ফেরেননি পুঁথি নিয়ে
৷
অশিক্ষিত
গাভী স্রোতের মত ভাসিয়ে দিচ্ছে
বাছুরের
অধিকার –বাছুরের জন্য ;
গোয়ালার
শেষ টান –শেষ ফোঁটার রেশে
যদি মানুষ হতো গাভী ,
কদাচিৎ কাঁপতো গোয়ালা ৷ যদি মানুষ শুনতো
‘হাম্বা’ –অবলা নামে ঘুচতো ছেলেখেলা ৷
আমার
কিছু মুখ মনে পড়ে আজ –
শহর
ছাপিয়ে জানালা খুলেছিলো যারা ,
তারা
কি ভোরবেলায় মুখ ধুয়েছে !
নাকি
, ট্যাঙ্কির জল শেষ হওয়ার ভয়ে
মুখে
কুলকুচি জমিয়ে রেখেছে !
কুলকুচি
মুখে পর্দা টেনেছে ৷
ভোরের
আলোমাখা ছায়া যদি একবার ভুলি . . .
থালার
একপাশে কাঁটা রেখে
শুধু
চেয়ে থেকে মোটা চালের ভাত
আরও
মোটা হবে , পেট ভরবে
-এই ভেবে যদি পিঠে চেটা পেট
খুশি হয় , তবে আগামী ধান আর ফলবে না !
ফলন কমবে না , দুই-চার হাত কমে যাবে ৷
শহুরে
রাস্তার কোথাও নাম নেই তাঁর , আর
গ্রাম্য
মেঠোর গন্ধ তথৈবচঃ
তাই বিদ্ববল্লভ মহাশয় রাতেই ফেরারী হয়েছেন
পুঁথি নিয়ে –কোনও এই মলাট , ওই মলাটের
মাঝে ৷
যে
ভোরের আলোমাখা ছায়া আমি ভুলেছি
সেও
আর দিনের আগে আসবে না ৷