ল্যাবরেটরী –তালাবন্দী নিঃসঙ্গতা
অঙ্কুর কুন্ডু
কোনো দামী সুগন্ধির
আশ্চর্য ভালোবাসা
আঁকড়ে ধরছে ক্ষারের বোতলগুলিকে ,
বেঁধে রেখেছে বেসিনের গায়ে থাকা তীব্র অ্যাসিড্ ৷
আজ শনিবারের পড়ন্ত বিকেলে
এসেছিলো মেয়েটি
সবার সাথে , সবার মতো
লাল-পাড় সাদা শাড়ির মাঝে সাদা ব্লাউজ –
ঢেকে দিয়েছে টুকরো সোনার মতো চিকচিকে লোম ৷
এই বোধহয় শেষবার নাম শুনলাম –‘সুলগ্না’ ৷
আজ শনিবারের পড়ন্ত বিকেলে
ওর টুয়েলভ্ ক্লাস্ : ক’দিন পরেই হবে স্কুল পাশ ৷
গত দু’বছর ওর আসা আমার ঘরে ,
ক্লান্ত চুলের গোছা ওর ফর্সা পিঠ ছুঁয়ে
ঝাপটা মারে উন্মত্ত বুকে –
যেন কোনো নির্জন
পৃথিবীর ওপর শুয়ে
এক মনীষা যন্ত্রনার
কামড়ে
ছটফট করছে ৷ চায়ছে
সেই পুরুষের হাতে
ইতিহাসের পাতায়
শুয়ে সমস্ত লেখায়
শুধু ঠোঁটের ছাপ
রেখে দেবে !
সিক্ত ভ্রু-যুগলের নিচে চোখের দু’পাশে সরু কাজল –
যেন কোনো মুমূর্ষু
শেষবার চোখ মেলে
লঞ্চে ভেসে আসতে
চায়ছে ৷
সুলগ্নার সেই
চোখ আজও চার দেওয়ালে
ঘুরছে কোনও টেস্ট-টিউবের
অপর প্রান্তে . . . .
আজ শেষ নিঃসঙ্গতা কাটানোর দিনে –
ওর স্কার্ফ ভুলে যাওয়া ,
ওর শেষ ফিরে চাওয়া . . . . .
আমার আগামী সারাবেলা
জানালার পানে চেয়ে শুধু মিছে কথা বলা ৷
আমি এক নিষ্প্রাণ ঘর ৷ আক্ষেপ একটাই –
রাতে তালাবন্দী আমি –সেই
সুলগ্নার থেকে দূরে ৷
শেষ শনিবারের পড়ন্ত বিকেলে –
অ্যাসিড্-টেস্টের
রং তোমার ব্লাউজে –রেখে দিও !
Jorate jiboner sonchar.....final twist still the show....awesome!!
ReplyDeleteউফ্ ! সিরিয়াসলি আ পাওয়ারফুল্ কমেন্ট্ ; অ্যান্ড্ থ্যাঙ্ক্ ইউ ৷
Delete