অঙ্কুর কুন্ডু
বাড়ি থেকে বেরিয়ে
ডানদিকে
বাঁদিকে
বাঁদিকে
বাঁদিকে
বাঁদিকে
আমার বাড়িতে ফিরে আসা
যায় ; শূন্য হাতে গেলে
সাথে নিয়ে আসা যায়
কিছু ধুলো জুতোর তলে ৷
অকস্মাৎ আঙুল কাঁপিয়ে
ছক কষে দেখি
প্রতিফলিত স্মৃতি সরণের
ঘরে বরাদ্দ করেছে ‘ফাঁকি’ ৷
বিকেল আসতেই দেখি পিছনে
পড়ে আছে
দুপুর
এবং সামনে সেই
জ্বলন্ত সন্ধ্যা
ইউরোপের আগ্নেয়গিরির
মতো জ্বলছে , এবং
কাঁচের শার্সিতে মাথা
হেলিয়ে আমি গুনছি
রাতের . . . এখন বিকেল
. . .
অসহিষ্ণু রোদ মুখে
পড়ছে ,
মুখে পুড়ছে শেষ চুল্লীর
স্মৃতি , মাথা ঘোরার আগে
কফির কাপে আলগা ঠোঁট
রক্তের ছাপের মতো শুকিয়েছে ৷
রাত হলেই একবার বাথরুমে
যাই
চৌকাঠ ডিঙিয়ে যেখানে
থমকে যাই , তা হল
ওপার
কারণ এখানেই আমি অতীত
দেখতে পাই ,
চামড়ার সাথে চামড়ার
নিবিঢ় সম্পর্ক দেখি ,
প্রমাণ পাই যে , আমি
কতটা নীচে নামতে পারি
আর সুলগ্নার শরীর ছুঁয়ে
কোথায় টেনে দিই
দাঁড়ি
এরপর সমগ্র মেঝেকে
আর্দ্র করে ফিরে আসি
এপারে ৷
সকালের রোদটা জানালার
ফাঁকে তেমনই মসৃণ
যেমন রেললাইনের উর্ধ্বতল
চকচক করে ৷
আমারই অলস চোখের ইশারা
অনুমতি দিয়েছে জানালার
গরাদগুলিকে . . .
তারা যেন এই বেয়াড়া
চামড়ায় দাগ আঁকে !
চাদরে ও বালিশে ঘাম
ঘষে
যখন বিছানা থেকে উঠলাম
, দেখলাম
কোমর ছাড়িয়ে প্যান্টটা
. . .
সঠিক স্থানেই আটকে
৷ কোনওদিকে না বেঁকে
টলমল জলে মুখ দেখে
আজ বিকেল খুঁজে পাই না !
অকস্মাৎ আঙুল কাঁপিয়ে
ছক কষে দেখি : মাথা ঘোরার আগে
কফির কাপে আলগা ঠোঁট
রক্তের ছাপের মতো শুকিয়েছে ,
এখানেই আমি অতীত দেখতে
পাই , আর
বিকেল খুঁজে পাই না
৷ তাই , অ-দেখা বিকেলের আগে
অপরাহ্নেই মৃত্যু চেয়েছি
!
No comments:
Post a Comment