ল্যাবরেটরী –দুই কপাটের ঘর
অঙ্কুর কুণ্ডু
এক
কোণে পড়ে ফুল আঁকা স্কার্ফ -
কোনো
দামী সুগন্ধির আশ্চর্য ভালোবাসা
ল্যাবরেটরীর
কপাট বুজে দিত নিশ্চয় !
ওভাবেই
শাহনাজ্ পিঠ ঢেকে দিত খোলা চুলে -
তারপর
শুরু হত খেলার ছলে
জেলিফিশ্
মাখামাখি ;
আমার
অবুঝ তর্জনীতে সুদর্শন চক্র
হয়ে
ঘুরত ওর প্রতিটা নিঃশ্বাস ৷
ল্যাবরেটরীর
গোলাপ দেওয়ালে
কিলবিল
করত শাহনাজকে না ছুঁতে পারার
কাঁটা
৷ অবিরত চোখ যেত ওর চোখে
কাজল-ঘাঁটা
৷ এরপর ঝটপট বৃষ্টির ঝটপটানি -
ওর
গালে জল বসত না ,
ও
চুল ওড়ালে কাঁধের সোনালী লোম
মুখ
মুড়ে বসত ৷ বৃষ্টি থামলে
নৈঃশব্দ
ভেঙে শাহনাজ্ নামাজ পড়ত ৷
বিকেল
সরতেই ল্যাবরেটরীর তালায়
আটকে
যেত বিষণ্ণতা ৷ দেওয়ালের চুন ঘষে
জানিয়ে
দিতাম ওখানে ঝুরোগল্প আছে
গাঁথা
৷ তখন আমার শুকনো হাতে ঠান্ডা তালা -
দরজা
ফুঁড়ে যতদূর চোখ যেত ,
সেখানে
কেবলই নবারুণের ফ্যাতাড়ু
উড়ে
জানিয়ে দিত শাহনাজ্ নেই ৷
ফেরার
পথে- চোখে ওর আলগা ঠোঁট ৷
ল্যাবরেটরীর
দুই কপাটের ফাঁকে
নিভে
থাকত শাহনাজ্ ও আমার
নিঃশ্বাস
! নিঃশব্দ চরণে
কিছু
বাদুড় দোল খেত সিলিংয়ের ডালে !
এখানে
দু’টো মানুষের গন্ধে ভালোবাসা খেলে ৷
শকুনের
মুখে অ্যাসিড্ ঢেলে
ক্ষারীয়
চাতক হয়ে আমি খুঁজে যাই
ঐ
জেলিফিশের পাশে মুসলিম মেয়েটাকে !
No comments:
Post a Comment