অ্যানাগনরিসিস্
–সহজ উপলব্ধি
অঙ্কুর
কুন্ডু
মুর্শিদাবাদ সাইনবোর্ডের পেছনে
যখন
সূর্য লুকিয়ে গেল
লেট
লালগোলা প্যাসেঞ্জার তখন
হাইহিলে
সুলগ্নাকে নামিয়ে
দম
নিচ্ছে কন্যা দায়গ্রস্ত পিতার মতো
সম্প্রদান
করে আবার ছুটছে
সুলগ্না
চুপ , আমি চুপ ,
যে
পাখি ঘর হারালো সেও চুপ
লটখট্
পাঁজরে ঘোড়া চলেছে
সাথে
সুলগ্না বলছে স্কুলের কথা
মুঠোবন্দী
এলাচ্-গন্ধের মতোই
ঐতিহাসিক
এই রাস্তায় ওর মুখে
তাকিয়ে
কোনো ইতিহাস মনে পড়ে না
এই
প্রথম স্যাঁতস্যাঁতে সন্ধ্যায়
ধুলো
উড়ছে , ঘোড়ার লেজে
মশাগুলো
আপ্রাণ নেচে চলেছে
সন্ধ্যেবেলায়
লোডশেডিঙের বোহেমিয়ান আঁধারে
তোমাকে
নতুন করে দেখালো মোমের কেরামতি
নৈঃশব্দ
শুনতে পেয়েছি দু’জানু দূরে . . .
তোমার
চোখের ঘামে জমেছিলো
নিঙরানো
নিউমোনিয়া রোগের
ঘোরে
টেবিল কেঁপেছে –তুমি থুতনি রাখতেই
শূন্যতা
নেমেছে , দুই হাঁটুর
ভাঁজে
লোম ছিঁড়ছে ঘামে
টঙের
মাইকে ফজরের টান
দু’চোখের
পাতায় সেক্যুলারিজম্ ডাকে
মানবতন্ত্রের
রিক্সায় চাপাচাপি
বসে
থাকা ভাড়া না দেওয়া দুই নিত্যযাত্রী
ক্রমশঃ
আমার পায়ের লোমে ,
মাথার
পাশে টোকা মেরে
জুয়ার
ঠেকের চেয়েও বিশুদ্ধ গালাগালে
ভেংচি
কাটে আমার দিকে পেছন ফিরে . . .
এই
ঘরে সুলগ্না নেই
বাথরুমে
ওর পা বেয়ে জল পড়ছে
বইয়ের
মলাট জানে আমি কেন বসে আছি
পাড়ার
লোক জানেনা কেন সাইকেল বেরোয়নি
চারদিন
পরে কেউ বলেছিলো –মন খারাপ
কেউ
বলেছিলো –শরীর খারাপ ; তবু
কেউ
ভাবেনি যে, খারাপ মনের অসুস্থ শরীর
বীর্য
চেনে , মানসীর ছোঁয়া চায়
আমি
বাথরুমের দিকে বহুক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম -
যেন
অঢেল সময় ; লাইব্রেরীর গ্রন্থস্বত্ব আমার
মেঝেতে
ভিজে ছায়া পড়ছে
ছায়ায়
চিটে আছে ভেজা তোয়ালে
সুলগ্না
স্টেশনে ফেরার পথে কবরের পাশে হাঁটছে
মরিয়া
জীবন্ত মানুষ মৃত্যুর ধার ঘেষে থাকে
হাঁটার
স্পন্দন ক্রমশঃ কমতে থাকে –যেন খোলকের
মাঝে
শামুকের শেষ অংশ চিরঘুমে যাচ্ছে
বহু
ঝক্কি পোহানো স্টেশনের ফ্যানটি নিম্নমানের
খোঁড়া
কবরের মতোই অচল বাক্স
যে
পথ দিয়ে ফিরে যাওয়া যায় , সে পথে গেল
সুলগ্না
; ভিড়ের মাঝে শুধু চেনা ট্রেনটি
আমার নির্জনতায় সায় দিয়ে
চলে
যাচ্ছে ‘ফিরব’ বলে
সন্ধ্যার
চুপ থাকা গাছে পাখি নেই
রাস্তায়
হেঁটে যাওয়া কিছু মানুষের মধ্যেও
তারা
নেই ; রাতের লোডশেডিঙে টেবিলের ও’পাশে
খাবারের
প্লেট নেই : গা গুলিয়ে উঠলো শরীরের সংখ্যা কমতে দেখে !
No comments:
Post a Comment