সীতা , তুমিই সতী !
অঙ্কুর কুণ্ডু
সীতা
, তুমি দেবীর বসন ছেড়ে নারী হও ; অথবা হতে পার নরমাংসের সতী ৷ সীতা , কেন আজও তোমায়
দেখিনি –সকালে দু’হাত বাড়িয়ে হাই তুলছো কিংবা স্বামীকে ঠেলে ডাকছো ! দেখিনি তোমায় বই
পড়তে , শুনতে পাইনি তোমার চা টানার আাওয়াজ ৷ বোধহয় তুমি লজ্জা পাও অথবা চাওনি যাতে
পুরাণের পোশাক কখনও যায় ভোলা ! সীতা , তোমার পরিচয় কি ? তুমি তো নও আমাদেরই মহিলা
!
কেন
হেঁটে যেতে ধীরে ধীরে
নীচু মুখ
দশরথ ডাকলে
সুলগ্না
বড়ই বেয়াদপ
শ্বাশুড়ির ধমকে রা কাটে
প্রথম চড়েই সুইসাইডের হুমকি
থেমে
যেত অত্যাচার –যা ছিল বাকী !
সীতা , তুমি কখনও কি বেরিয়েছিলে পঞ্চবটীর প্রাতঃভ্রমণে ! কেন
পাখিরা তোমার কাছে চায়নি আশ্রয় ! তবে কি তখনও মায়ের কোমলতাকে ঢেকে রেখেছিল স্বামীর
আকর্ষণ ! ডানায়-ডানায় কি খবর গিয়েছিল গাছের পাতায় , তাই বুঝি মর্মরধ্বনি তুলে ডালপালা
শুকনো হয়েছিল , নিজেদের আহূতি দিয়েছিল তোমার চোখের আড়ালে যেতে চেয়ে ৷ সীতা , তোমায়
দেখিনি পথের ধারে বাচ্চার সাথে , তবে সীতা , তোমার পরিচয় কি ? তুমি তো নও আমাদেরই মহিলা
!
রাজ্যের
সন্তান ছেড়ে কিভাবে
বনবাসে
ছিলে
সন্তান
কি প্রতিশ্রুতির ভ্রূণ
সুলগ্নাকে
দেখেছি রাতে
স্কুটি
চালিয়ে ছুটত
বাড়ির
বারণ পেরিয়ে
মুঠো
মুঠো আদর দিত হেঁদুয়ার ফুটে !
সীতা , তুমি এত লোভী ! তুমি সীতা কম দামী মারীচের চেয়ে ! কেন
ছুটিয়েছিলে রামকে আঁধারে ! কোথাও তোমার মনে দানা বেঁধেছিল স্বামীর বীরত্ব , তাই বুঝি
লক্ষ্মণকে পীড়া দিয়েছিলে রামকে খোঁজার জন্য ! তুমি সীতা পূর্ণ নারী , আজও কি পূজিত
এই সমাজে ? যে নারী গন্ডির মধ্যে থাকে , সে নারী সীতা , সতী নয় , দেবী , চলমান নয় ! তবে সীতা , তোমার পরিচয় কি ? তুমি তো নও আমাদেরই
মহিলা !
তবু
সীতা , তোমার জন্যই লঙ্কাকান্ড
তোমার
জন্যই রামায়ণ
পড়েছে
তোমার অনুরাগী
সুলগ্না
পুরুষের মুঠো থেকে
দূরে
রেখেছে নিজেকে
নিজের
উন্মুক্ত পথে
আজও
কোনো কাব্যই লিখতে পারেনি সে !
No comments:
Post a Comment