Tuesday, 30 September 2014

মুর্শিদাবাদ –-A Graveyard of History (৫১)


মুর্শিদাবাদ –-A Graveyard of History
অঙ্কুর কুণ্ডু

                   “ ”
                . . . অযথা বৎসর কাটে , যুগ , তবু সভ্যতা রয়েছে আজও তেমনি বর্বর
                                        তুমি হও নদীর গর্ভের মতো গভীরতা , ঠান্ডা , দেবদূতী
                কথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে ৷
                                                        (“হিমযুগ” , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)

       ইতিহাস কখনও সুখকর হয় না , যদিওবা সুখের হয় , সেখানেও থেকে যায় নৃশংসতা ৷ ভারতের স্বাধীনতাই তার জ্বলন্ত উদাহরণ ৷ তবে ইতিহাস অবশ্যই সঙ্গম শেখায় ৷ ঐতিহাসিক নিদর্শন হয়তো কেবলই সেই সঙ্গমের প্রতীকচিহ্ন , কিন্তু ইতিহাসের জন্ম যে কেবলই ঘটনা থেকে হয় না , বরং আবেগের আলিঙ্গনে কোনো জায়গার অলি-গলির মুখে ব্যারিকেড্ হয়ে থাকে ইতিহাস ৷ সেই ব্যারিকেড্ কখনও আবার মলাট হয়ে সামনে আসে , অন্তত মুর্শিদাবাদের অলি-গলি রাতের আঁধারে বা নির্জন দুপুরে এই সত্যকেই সামনে আনে ৷ ঐ মলাট ওল্টালেই দেখা যায় প্রতারণার ইতিহাস , গন্ধ পাওয়া যায় রক্তের , মুর্শিদাবাদই মনে হয় প্রথম শুঁকিয়েছিল বিশ্বাসঘাতকতার রক্তের গন্ধ , অনুভব করা যায় ঘোড়ার পায়ের আওয়াজ –সেই ঘোড়া যার পিঠের ওপর নিথর হয়ে ফিরেছিলেন ওড়িশা ও বিহারের নাজিম এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌল্লা , শোনা যায় হাসান-হুসেনের মায়ের মতো পুত্রহারা বহু মায়ের চাপা কান্না ৷ এই মুর্শিদাবাদেই দশবছর ছিলাম আমি ৷ ইন্টারনেট্ বা বইয়ের পাতায় নয় , উপলব্ধি করেছি এই ইতিহাসকে প্রতিটা দিন , প্রতিটা রাত , নিজস্বভাবে ৷ তবে , ইদানীং কলকাতাবাসী হওয়ার পর থেকেই আমিও আপনাদের মতো পর্যটক মুর্শিদাবাদের বুকে ৷ চলুন ঘুরে আসা যাক্ মুর্শিদাবাদ , একটু ভিন্নভাবে ৷ এখানে কেবলই ঘোরার বিবরণ নয় , বরং স্বাদ নিই ইতিহাসের পাতায় লেগে থাকা চোরাগোপ্তা রক্তের !

       শিয়ালদহ স্টেশন এবং কলকাতা/চিৎপুর স্টেশন থেকে মুর্শিদাবাদ স্টেশন যাওয়ার বেশ কয়েকটি ট্রেন আছে (ভোর ৩:৩০ , সকাল ৬:৫০ ও ৭:৫৭ , দুপুর ১২:২০ ও ২:১০ , সন্ধ্যা ৬:২০ প্রভৃতি) ৷ ফিরতি পথেও অজস্র ট্রেন , যেমন – সকাল ৬:১৫ ও ৬:৫৫ , বিকেল ৪:৪০ , রাত ১০:৫৩ প্রভৃতি ৷ ভোরবেলা থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ধর্মতলা ডিপো থেকে বহরমপুর পর্যন্ত NH-34 দিয়ে যাওয়ার বাস পাওয়া যায় , বহরমপুর থেকে অটো বা ট্রেকারের মাধ্যমে পৌঁছানো যায় লালবাগ ৷ লালবাগ ও সেই সংলগ্ন এলাকায় ঐতিহাসিক নিদর্শনের আধিক্য ৷ লালবাগের পাঁচরাহা মোড়ের কাছে ‘সাগ্নিক’ , মুর্শিদাবাদ স্টেশনের কাছে ‘ইন্দ্রজিৎ’ , হাজারদুয়ারীর পাশে ‘অনুরাগ’ , গঙ্গা পাড়ের ‘মঞ্জুষা’ প্রভৃতি হোটেলে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে ৷ ঘোরার জন্য আছে রিক্সা ও ঘোড়ার গাড়ী ৷

       মুর্শিদাবাদ হল রহস্যের গুহা –যার ভেতরে ঢুকতে হলে ভয় ও আলো বাইরে ফেলে আসতে হবে , কারণ আঁধার আলোর রোশনাইয়ে বড়ই কুৎসিত , মেয়েলি পুরুষের মত ধিক্কৃত ৷ ছোট-ছোট পদক্ষেপ ফেলা যাক গুহার অন্ধকারে ৷ মুর্শিদাবাদের লালবাগ শহরের ধারে অবস্থিত এই জেলার একমাত্র সরকারী (রাজ্য সরকার) বিদ্যালয় –নবাব বাহাদুর’স্ ইনস্টিটিউশন্ ; তার পাশ দিয়ে সোজা অনেকটা দূর গেলে পাওয়া যাবে ইচ্ছাগঞ্জ নামের একটি এলাকা –এর খুব কাছেই অবস্থিত আজিমুন্নেশা বেগমের জ্যান্ত সমাধি , কথিত আছে মুর্শিদকুলির কন্যা আজিমুন্নেশার জীবন ছিল দুর্বিষহ ৷ তিনি এক মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন , অস্বাভাবিকভাবেই এর পথ্য ছিল যে তাঁকে প্রতিদিন একটি করে জ্যান্ত শিশুর কলিজা খেতে হবে ৷ সেইমতো তিনি বহুদিন এই পথ্য নিতেন ৷ ধীরে-ধীরে মুর্শিদ সাম্রাজ্যে ঝড় উঠতে থাকে ৷ খবর জানাজানি হতেই মুর্শিদাবাদকে বাঁচানোর জন্য জামাতা সুজাউদ্দিন মহম্মদের সাথে আলোচনা করে জ্যান্ত সমাধি দেন আজিমুন্নেশাকে , ভুল বললাম , সমাধি দেন ‘কলিজা খাকী’কে ৷

       মুর্শিদাবাদ নামের প্রবর্তক মু্র্শিদকুলি খাঁ ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ , আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন নবাব –যিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে নিজের কন্যাকে জ্যান্ত সমাধি দেন ৷ কোনো নরম ঘাসে পা দেওয়ার পর যেকোনো অনুভূতিশীল যেমন মানুষ দ্রুত পা সরিয়ে নেয় তেমনই নিজের সাম্রাজ্যের পরিত্রাতা হলেও মু্র্শিদকুলি খাঁ পিতৃত্বের নরম ঘাসকে পদদলিত করে ব্যথা অনুভব করেছিলেন ৷ দীর্ঘকাল অবসাদে ভুগে তাঁরই নির্দেশে তাঁকে জ্যান্ত সমাধিস্থ করা হয় কাটরা মসজিদে ৷ সমাধির গহ্বরে প্রবেশের আগে তিনি বলেছিলেন যে তিনি বহু পাপ করেছেন পিতা ও নবাব হিসেবে ৷ তাই পাপস্খলন করার জন্য তিনি কাটরার পিছন দিকের একটি অংশে সমাধিস্থ হতে চেয়েছিলেন , যাতে তাঁর বুকের ওপর দিয়ে অজান্তেই মানুষেরা হেঁটে গেলে তাদের পদধূলিতে নিজের পাপ ধুয়ে যায় ৷ বলা বাহুল্য , সকলে প্রথমবার না জেনেই তাঁর বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে যান ৷ এবং সেই পদধূলিতেই এত বছর ধরে তিনি সহানুভূতিগুলো নিজের জন্য আলাদা করে রেখেছেন ৷ হাজারদুয়ারী প্যালেস থেকে বা মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে আমবাগানের মাঝ-বরাবর রাস্তা দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে যাওয়া যায় কাটরায় ৷ অসম্ভব সুন্দর বাংলা ইঁট ও কারুকার্যের দেওয়াল দিয়ে তৈরী দুই উঁচু মিনারযুক্ত (যার ওপর থেকে সমগ্র লালবাগ শহর এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু অংশ দেখা যায় , বহুদিন থেকেই ঐ মিনারে ওঠার অনুমতি নেই) কাটরা মসজিদ এক আলাদা ইতিহসের জন্ম দিয়েছে ৷

       কাটরা মসজিদ থেকে কিছুটা দূরেই অবস্থিত দুর্দশাগ্রস্ত নশিপুরের রাজবাড়ী (যেখানে রাখা আছে রাজবাড়ীর শেষ কিছু সামগ্রী ও স্মৃতি) , কাঠগোলাপ বাগান ও পরেশনাথের মন্দির (একটি প্যালেস্ ও পরেশনাথের মন্দিরকে কেন্দ্র করে চারিদিকে ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা ও দু’টি পুকুর নিয়েই গড়ে উঠেছে এই প্রাসাদোপম বাগানবাড়িটি) , কাছাকাছি অবস্থিত জগৎ শেঠের বাড়ি ৷ কাটরার অপর প্রান্তে আছে তোপখানা (এখানকার একটি বিখ্যাত বিশালদেহী কামান দেখতেই পর্যটকেরা আসে) ৷ বেশ কিছুটা দূরে আছে মোতিঝিল , শোনা যায় যে , এখানকার একটি শক্ত ইঁটের ঘরে (যা ভাঙা যায়নি) হীরে-জহরত আছে , যাঁরা এই সম্পত্তি লুন্ঠনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন , তাঁরা সকলেই ভয়ানকভাবে মারা গেছেন ৷

       গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণ করে গঙ্গার অপরপ্রান্তে খোশবাগের নিস্তব্ধ সৌন্দর্য দেখলে মন খারাপ হওয়ারই কথা ৷ কারণ এখানেই আছে ইতিহাসের পয়লা নম্বর প্রতারক মীর্জাফরের চরম শত্রু সিরাজ-উদ-দৌল্লার সমাধি , আছে আলিবর্দী খাঁ-এর সমাধিসহ আরও অনেকের নির্জন সমাধি ৷ কথিত আছে , আলিবর্দীর সমাধির নীচে মূল্যবান অলঙ্কার থাকায় সমাধি ভেঙে ডাকাতি করারও চেষ্ট হয়েছিল ৷ খোশবাগে এইসব সমাধি ঘিরে আছে সুন্দর বাগান ৷

       মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত লালবাগ শহরটির প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই গঙ্গার পাড়ে অবস্থিত হলুদ রঙের দেওয়ালে মোড়া বিশাল প্রাসাদ –হুমায়ুন জাহ্-এর তত্ত্বাবধানে তৈরী ‘হাজারদুয়ারী প্যালেস্ ও মিউজিয়াম’ ৷ আসল হাজারদুয়ারী নাকি গঙ্গাবক্ষে চলে যাওয়ার পরই বর্তমানের এই প্রাসাদ তৈরী করা হয়েছিল ৷ প্রাসাদটি দাঁড়িয়ে আছে কিছুটা হাওড়া ব্রিজের মতো তৈরী কয়েকটি কাঠামোর সাহায্যে , যা বেশ চমকপ্রদ ৷  যুদ্ধের সরঞ্জাম , যুদ্ধে পূর্বে ব্যবহৃত জিনিসপত্র , আঁকা ছবি , নবাবদের ছবি , প্রতিকৃতি , নথি-পত্র , গ্রন্থাগার , দরবার হল , বিশাল ঝাড়বাতি প্রভৃতি নিয়ে সজ্জিত হাজারদুয়ারী প্যালেস্ ও মিউজিয়াম (বি.দ্র. শুক্রবার বন্ধ থাকে মিউজিয়ামের দরজা) ৷ হাজরদুয়ারীর বিশাল চৌহদ্দির ভিতরে আছে সাদা মদিনা , ইমামবাড়া (হাজারদুয়ারীর থেকেও চওড়া এই বাড়ীটি বিশেষ কয়েকটা দিন ছাড়া খোলা হয় না ৷ মহরমে রক্তের বেদনা শোনার জন্যও খুলে দেওয়া হয় এর মূল ফটক ৷ ভিতরে আছে অজস্র ঘর ও কুঠুরি , আছে হজরত মহম্মদের পাঞ্জা ও পায়ের ছাপ নেওয়া শিলা) , বাচ্চাওয়ালী তোপ (ঢাকার বিখ্যাত শিল্পী জনার্দন কর্মকার দ্বারা নির্মিত ১৮ ফুট লম্বা ও ২২ ইঞ্চি ব্যাসবিশিষ্ট এই বাচ্চওয়ালী তোপের ওজন ৭,৭৭৯ সের , এটি ছিল সুলতান ইলিয়াস্ শাহের তোপ ৷ এই তোপ যখন দাগা হত তখন বেশ কয়েকশো কিলোমিটার বা কয়েক মাইল দূর এলাকার সদ্যোজাত অথবা মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানের মৃত্যু ঘটত , তাই এর নাম বাচ্চাওয়ালী তোপ) ৷

       বইয়ের পাতা জানিয়ে দেবে মহরমে বুক চাপড়ে রক্তাক্ত হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা শোকজ্ঞাপন করে হাসান ও হুসেনের প্রতি ৷ কিন্তু ঐ জীর্ণ পাতাগুলো জানাবে সে ব্যথার কথা , জানাবে না আঙুলের চামড়ায় ব্লেড্ ঢুকিয়ে বুকে একের পর এক আঘাতের কথা , জানাবে না এক হিন্দু প্রার্থনাকারী ফর্সা ছেলের কথা যে সেই শোকযাত্রায় মিশে পাঁচ-ছয় ছুরির গোছা বানিয়ে বারবার নিজের বুকে-পিঠে আঘাত করেছিল ৷ পাতাগুলোয় খোদাই বর্ণে লেখা থাকবে না সেই আকুল উক্তি , সেই নভস্পর্শী হৃদয়-বিদারক সুন্দর গান- “কাঁদে রে ফতেমা বিবি / বাতি জ্বালাও জৌলুষে . . . হায় হুসেন হায় / হায় হাসান হায় ৷” বুক চাপড়ানোর যে শব্দ তা কোনো সিডি বা ভিভিডি-তে শোনার থেকে দশবছর ওখানে থেকে শোনার দুঃখটাই বেশি ৷ মহরমের সকালে উঠে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখতাম ইমামবাড়ীতে নিদ্রাহীন রাত কাটিয়ে রক্তে ভেজা সাদা পাঞ্জাবীর লোকেরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ৷ যখন একসাথে ৪০-৫০জন মানুষ রক্তের এমব্রয়ডারী করা সাদা পাঞ্জাবী পড়ে বুক বাজানোর গর্জন তোলে , তখন আমাদের মত পাশে থাকা দর্শনার্থীদের সারা শরীর কাঁপতে থাকে ৷ মোমবাতি , ধূপ , তাজিয়া , আতর , রক্তাক্ত দেহগুলিতে অনবরত ছেটানো গোলাপ জল ও “কারবালা , কারবালা” গাইতে-গাইতে মানুষের ঢল পৌঁছায় কারবালায় ৷ এখনও কানে সেই সুর বাজে ৷ দুঃখ হয় ফতেমা বিবির একজোড়া সন্তানের অকাল মৃত্যর কাহিনী মনে পড়লেই ! আক্ষেপ থেকে যায় যে , পাঠক-পাঠিকারা শুনতে পায় না বুকে সে আঘাতের পবিত্রতার সুর !

       শুনেছি , হাজারদুয়ারী প্যালেসের ভিতরে রাতের বেলায় নাকি ঘুঙরুর আওয়াজ শোনা যায় ৷ ঐ আসল৯০০+নকল১০০ দরজার রাজবাড়ীর মধ্যে অবস্থিত দরবার হলের ভাস্কর্য শিল্পের মহিমা নিজের ঠোঁটে আওড়াতে পারিনি ৷ কখনও দেখতে পাইনি আমার অতি পরিচিত পুরোনো ইঁটের দেওয়ালের ওপর হেঁটে যাওয়া কোনো ছায়ামূর্তিকে ৷ লালবাগের প্রতিটা গলি পাশাপাশি , যেন তারা একই মায়ের পেটের সন্তান , তারা সকলে নবাব –মুর্শিদাবাদের গর্ভে ৷ যারা এই গলি দিয়ে চলাফেরা করে , তারা বোধহয় খুঁজছে সেই ঘোড়াটিকে যে সিরাজের লাশ নিয়ে ঘুরছে এখনও-তখনও-কখনও !

       মুর্শিদাবাদে আছে ইতিহাসের এক-একটি পাঁজর দিয়ে গড়া ত্রিপোলিয়া গেট , দক্ষিণ দরজা –যার তলা দিয়ে সহজে গলে যাবে নবাবদের দেখতে আসা কয়েকজোড়া চোখ ৷  হুসেন ফিরবে না –ফিরবে না মুসলিমদের গিরগিটি না মারার রীতি ! গিরগিটি ? থাক রহস্য. . . মুর্শিদাবাদ তো জানে , সবাই যদি ‘নাও’ বলে রহস্যের ডালি উন্মোচন করে , তবে ইমামবাড়ায় নবাব-বেগমদের সাথে বসে মহরমের শোকযাত্রা দেখার জন্য উপরের ব্যালকনিতে টিকিট বিক্রী হবে না ৷ ওঁরা যে বড্ড একা -ওঁদের পুত্র-কন্যারাও খুব একা ৷ বিদীর্ণ বুকে তো কেবলই ধাক্কা দিতে থাকে – “এই বেদনার ইতিহাস শুনেছো কি / দেখেছো কি মানুষের অশ্রু / শিশিরে-শিশিরে ঝরে ৷”


No comments:

Post a Comment