মুর্শিদাবাদ –-A Graveyard of
History
অঙ্কুর কুণ্ডু
“ ”
. .
. অযথা বৎসর কাটে , যুগ , তবু সভ্যতা রয়েছে আজও তেমনি বর্বর
তুমি
হও নদীর গর্ভের মতো গভীরতা , ঠান্ডা , দেবদূতী
কথা
দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে ৷
(“হিমযুগ”
, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
ইতিহাস কখনও
সুখকর হয় না , যদিওবা সুখের হয় , সেখানেও থেকে যায় নৃশংসতা ৷ ভারতের স্বাধীনতাই তার
জ্বলন্ত উদাহরণ ৷ তবে ইতিহাস অবশ্যই সঙ্গম শেখায় ৷ ঐতিহাসিক নিদর্শন হয়তো কেবলই সেই
সঙ্গমের প্রতীকচিহ্ন , কিন্তু ইতিহাসের জন্ম যে কেবলই ঘটনা থেকে হয় না , বরং আবেগের
আলিঙ্গনে কোনো জায়গার অলি-গলির মুখে ব্যারিকেড্ হয়ে থাকে ইতিহাস ৷ সেই ব্যারিকেড্ কখনও
আবার মলাট হয়ে সামনে আসে , অন্তত মুর্শিদাবাদের অলি-গলি রাতের আঁধারে বা নির্জন দুপুরে
এই সত্যকেই সামনে আনে ৷ ঐ মলাট ওল্টালেই দেখা যায় প্রতারণার ইতিহাস , গন্ধ পাওয়া যায়
রক্তের , মুর্শিদাবাদই মনে হয় প্রথম শুঁকিয়েছিল বিশ্বাসঘাতকতার রক্তের গন্ধ , অনুভব
করা যায় ঘোড়ার পায়ের আওয়াজ –সেই ঘোড়া যার পিঠের ওপর নিথর হয়ে ফিরেছিলেন ওড়িশা ও বিহারের
নাজিম এবং বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ্-দৌল্লা , শোনা যায় হাসান-হুসেনের মায়ের
মতো পুত্রহারা বহু মায়ের চাপা কান্না ৷ এই মুর্শিদাবাদেই দশবছর ছিলাম আমি ৷ ইন্টারনেট্
বা বইয়ের পাতায় নয় , উপলব্ধি করেছি এই ইতিহাসকে প্রতিটা দিন , প্রতিটা রাত , নিজস্বভাবে
৷ তবে , ইদানীং কলকাতাবাসী হওয়ার পর থেকেই আমিও আপনাদের মতো পর্যটক মুর্শিদাবাদের বুকে
৷ চলুন ঘুরে আসা যাক্ মুর্শিদাবাদ , একটু ভিন্নভাবে ৷ এখানে কেবলই ঘোরার বিবরণ নয়
, বরং স্বাদ নিই ইতিহাসের পাতায় লেগে থাকা চোরাগোপ্তা রক্তের !
শিয়ালদহ স্টেশন
এবং কলকাতা/চিৎপুর স্টেশন থেকে মুর্শিদাবাদ স্টেশন যাওয়ার বেশ কয়েকটি ট্রেন আছে (ভোর
৩:৩০ , সকাল ৬:৫০ ও ৭:৫৭ , দুপুর ১২:২০ ও ২:১০ , সন্ধ্যা ৬:২০ প্রভৃতি) ৷ ফিরতি পথেও
অজস্র ট্রেন , যেমন – সকাল ৬:১৫ ও ৬:৫৫ , বিকেল ৪:৪০ , রাত ১০:৫৩ প্রভৃতি ৷ ভোরবেলা
থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ধর্মতলা ডিপো থেকে বহরমপুর পর্যন্ত NH-34 দিয়ে যাওয়ার বাস
পাওয়া যায় , বহরমপুর থেকে অটো বা ট্রেকারের মাধ্যমে পৌঁছানো যায় লালবাগ ৷ লালবাগ ও
সেই সংলগ্ন এলাকায় ঐতিহাসিক নিদর্শনের আধিক্য ৷ লালবাগের পাঁচরাহা মোড়ের কাছে ‘সাগ্নিক’
, মুর্শিদাবাদ স্টেশনের কাছে ‘ইন্দ্রজিৎ’ , হাজারদুয়ারীর পাশে ‘অনুরাগ’ , গঙ্গা পাড়ের
‘মঞ্জুষা’ প্রভৃতি হোটেলে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে ৷ ঘোরার জন্য আছে রিক্সা ও ঘোড়ার
গাড়ী ৷
মুর্শিদাবাদ
হল রহস্যের গুহা –যার ভেতরে ঢুকতে হলে ভয় ও আলো বাইরে ফেলে আসতে হবে , কারণ আঁধার আলোর
রোশনাইয়ে বড়ই কুৎসিত , মেয়েলি পুরুষের মত ধিক্কৃত ৷ ছোট-ছোট পদক্ষেপ ফেলা যাক গুহার
অন্ধকারে ৷ মুর্শিদাবাদের লালবাগ শহরের ধারে অবস্থিত এই জেলার একমাত্র সরকারী (রাজ্য
সরকার) বিদ্যালয় –নবাব বাহাদুর’স্ ইনস্টিটিউশন্ ; তার পাশ দিয়ে সোজা অনেকটা দূর গেলে
পাওয়া যাবে ইচ্ছাগঞ্জ নামের একটি এলাকা –এর খুব কাছেই অবস্থিত আজিমুন্নেশা বেগমের জ্যান্ত
সমাধি , কথিত আছে মুর্শিদকুলির কন্যা আজিমুন্নেশার জীবন ছিল দুর্বিষহ ৷ তিনি এক মারাত্মক
ব্যাধিতে আক্রান্ত হন , অস্বাভাবিকভাবেই এর পথ্য ছিল যে তাঁকে প্রতিদিন একটি করে জ্যান্ত
শিশুর কলিজা খেতে হবে ৷ সেইমতো তিনি বহুদিন এই পথ্য নিতেন ৷ ধীরে-ধীরে মুর্শিদ সাম্রাজ্যে
ঝড় উঠতে থাকে ৷ খবর জানাজানি হতেই মুর্শিদাবাদকে বাঁচানোর জন্য জামাতা সুজাউদ্দিন মহম্মদের
সাথে আলোচনা করে জ্যান্ত সমাধি দেন আজিমুন্নেশাকে , ভুল বললাম , সমাধি দেন ‘কলিজা খাকী’কে
৷
মুর্শিদাবাদ নামের প্রবর্তক মু্র্শিদকুলি খাঁ
ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ , আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন নবাব –যিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে
নিজের কন্যাকে জ্যান্ত সমাধি দেন ৷ কোনো নরম ঘাসে পা দেওয়ার পর যেকোনো অনুভূতিশীল যেমন
মানুষ দ্রুত পা সরিয়ে নেয় তেমনই নিজের সাম্রাজ্যের পরিত্রাতা হলেও মু্র্শিদকুলি খাঁ
পিতৃত্বের নরম ঘাসকে পদদলিত করে ব্যথা অনুভব করেছিলেন ৷ দীর্ঘকাল অবসাদে ভুগে তাঁরই
নির্দেশে তাঁকে জ্যান্ত সমাধিস্থ করা হয় কাটরা মসজিদে ৷ সমাধির গহ্বরে প্রবেশের আগে
তিনি বলেছিলেন যে তিনি বহু পাপ করেছেন পিতা ও নবাব হিসেবে ৷ তাই পাপস্খলন করার জন্য
তিনি কাটরার পিছন দিকের একটি অংশে সমাধিস্থ হতে চেয়েছিলেন , যাতে তাঁর বুকের ওপর দিয়ে
অজান্তেই মানুষেরা হেঁটে গেলে তাদের পদধূলিতে নিজের পাপ ধুয়ে যায় ৷ বলা বাহুল্য , সকলে
প্রথমবার না জেনেই তাঁর বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে যান ৷ এবং সেই পদধূলিতেই এত বছর ধরে তিনি
সহানুভূতিগুলো নিজের জন্য আলাদা করে রেখেছেন ৷ হাজারদুয়ারী প্যালেস থেকে বা মুর্শিদাবাদ
স্টেশন থেকে আমবাগানের মাঝ-বরাবর রাস্তা দিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে যাওয়া যায় কাটরায় ৷
অসম্ভব সুন্দর বাংলা ইঁট ও কারুকার্যের দেওয়াল দিয়ে তৈরী দুই উঁচু মিনারযুক্ত (যার
ওপর থেকে সমগ্র লালবাগ শহর এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু অংশ দেখা যায় , বহুদিন থেকেই
ঐ মিনারে ওঠার অনুমতি নেই) কাটরা মসজিদ এক আলাদা ইতিহসের জন্ম দিয়েছে ৷
কাটরা মসজিদ থেকে কিছুটা দূরেই অবস্থিত দুর্দশাগ্রস্ত
নশিপুরের রাজবাড়ী (যেখানে রাখা আছে রাজবাড়ীর শেষ কিছু সামগ্রী ও স্মৃতি) , কাঠগোলাপ
বাগান ও পরেশনাথের মন্দির (একটি প্যালেস্ ও পরেশনাথের মন্দিরকে কেন্দ্র করে চারিদিকে
ফুলের বাগান দিয়ে ঘেরা ও দু’টি পুকুর নিয়েই গড়ে উঠেছে এই প্রাসাদোপম বাগানবাড়িটি)
, কাছাকাছি অবস্থিত জগৎ শেঠের বাড়ি ৷ কাটরার অপর প্রান্তে আছে তোপখানা (এখানকার একটি
বিখ্যাত বিশালদেহী কামান দেখতেই পর্যটকেরা আসে) ৷ বেশ কিছুটা দূরে আছে মোতিঝিল , শোনা
যায় যে , এখানকার একটি শক্ত ইঁটের ঘরে (যা ভাঙা যায়নি) হীরে-জহরত আছে , যাঁরা এই সম্পত্তি
লুন্ঠনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন , তাঁরা সকলেই ভয়ানকভাবে মারা গেছেন ৷
গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণ করে গঙ্গার অপরপ্রান্তে খোশবাগের
নিস্তব্ধ সৌন্দর্য দেখলে মন খারাপ হওয়ারই কথা ৷ কারণ এখানেই আছে ইতিহাসের পয়লা নম্বর
প্রতারক মীর্জাফরের চরম শত্রু সিরাজ-উদ-দৌল্লার সমাধি , আছে আলিবর্দী খাঁ-এর সমাধিসহ
আরও অনেকের নির্জন সমাধি ৷ কথিত আছে , আলিবর্দীর সমাধির নীচে মূল্যবান অলঙ্কার থাকায়
সমাধি ভেঙে ডাকাতি করারও চেষ্ট হয়েছিল ৷ খোশবাগে এইসব সমাধি ঘিরে আছে সুন্দর বাগান
৷
মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত লালবাগ শহরটির
প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই গঙ্গার পাড়ে অবস্থিত হলুদ রঙের দেওয়ালে মোড়া বিশাল প্রাসাদ –হুমায়ুন
জাহ্-এর তত্ত্বাবধানে তৈরী ‘হাজারদুয়ারী প্যালেস্ ও মিউজিয়াম’ ৷ আসল হাজারদুয়ারী নাকি
গঙ্গাবক্ষে চলে যাওয়ার পরই বর্তমানের এই প্রাসাদ তৈরী করা হয়েছিল ৷ প্রাসাদটি দাঁড়িয়ে
আছে কিছুটা হাওড়া ব্রিজের মতো তৈরী কয়েকটি কাঠামোর সাহায্যে , যা বেশ চমকপ্রদ ৷ যুদ্ধের সরঞ্জাম , যুদ্ধে পূর্বে ব্যবহৃত জিনিসপত্র
, আঁকা ছবি , নবাবদের ছবি , প্রতিকৃতি , নথি-পত্র , গ্রন্থাগার , দরবার হল , বিশাল
ঝাড়বাতি প্রভৃতি নিয়ে সজ্জিত হাজারদুয়ারী প্যালেস্ ও মিউজিয়াম (বি.দ্র. শুক্রবার বন্ধ
থাকে মিউজিয়ামের দরজা) ৷ হাজরদুয়ারীর বিশাল চৌহদ্দির ভিতরে আছে সাদা মদিনা , ইমামবাড়া
(হাজারদুয়ারীর থেকেও চওড়া এই বাড়ীটি বিশেষ কয়েকটা দিন ছাড়া খোলা হয় না ৷ মহরমে রক্তের
বেদনা শোনার জন্যও খুলে দেওয়া হয় এর মূল ফটক ৷ ভিতরে আছে অজস্র ঘর ও কুঠুরি , আছে হজরত
মহম্মদের পাঞ্জা ও পায়ের ছাপ নেওয়া শিলা) , বাচ্চাওয়ালী তোপ (ঢাকার বিখ্যাত শিল্পী
জনার্দন কর্মকার দ্বারা নির্মিত ১৮ ফুট লম্বা ও ২২ ইঞ্চি ব্যাসবিশিষ্ট এই বাচ্চওয়ালী
তোপের ওজন ৭,৭৭৯ সের , এটি ছিল সুলতান ইলিয়াস্ শাহের তোপ ৷ এই তোপ যখন দাগা হত তখন
বেশ কয়েকশো কিলোমিটার বা কয়েক মাইল দূর এলাকার সদ্যোজাত অথবা মাতৃগর্ভে থাকা সন্তানের
মৃত্যু ঘটত , তাই এর নাম বাচ্চাওয়ালী তোপ) ৷
বইয়ের পাতা জানিয়ে দেবে মহরমে বুক চাপড়ে রক্তাক্ত
হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা শোকজ্ঞাপন করে হাসান ও হুসেনের প্রতি ৷ কিন্তু ঐ জীর্ণ পাতাগুলো
জানাবে সে ব্যথার কথা , জানাবে না আঙুলের চামড়ায় ব্লেড্ ঢুকিয়ে বুকে একের পর এক আঘাতের
কথা , জানাবে না এক হিন্দু প্রার্থনাকারী ফর্সা ছেলের কথা যে সেই শোকযাত্রায় মিশে পাঁচ-ছয়
ছুরির গোছা বানিয়ে বারবার নিজের বুকে-পিঠে আঘাত করেছিল ৷ পাতাগুলোয় খোদাই বর্ণে লেখা
থাকবে না সেই আকুল উক্তি , সেই নভস্পর্শী হৃদয়-বিদারক সুন্দর গান- “কাঁদে রে ফতেমা
বিবি / বাতি জ্বালাও জৌলুষে . . . হায় হুসেন হায় / হায় হাসান হায় ৷” বুক চাপড়ানোর যে
শব্দ তা কোনো সিডি বা ভিভিডি-তে শোনার থেকে দশবছর ওখানে থেকে শোনার দুঃখটাই বেশি ৷
মহরমের সকালে উঠে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখতাম ইমামবাড়ীতে নিদ্রাহীন রাত কাটিয়ে রক্তে
ভেজা সাদা পাঞ্জাবীর লোকেরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে ৷ যখন একসাথে ৪০-৫০জন মানুষ রক্তের
এমব্রয়ডারী করা সাদা পাঞ্জাবী পড়ে বুক বাজানোর গর্জন তোলে , তখন আমাদের মত পাশে থাকা
দর্শনার্থীদের সারা শরীর কাঁপতে থাকে ৷ মোমবাতি , ধূপ , তাজিয়া , আতর , রক্তাক্ত দেহগুলিতে
অনবরত ছেটানো গোলাপ জল ও “কারবালা , কারবালা” গাইতে-গাইতে মানুষের ঢল পৌঁছায় কারবালায়
৷ এখনও কানে সেই সুর বাজে ৷ দুঃখ হয় ফতেমা বিবির একজোড়া সন্তানের অকাল মৃত্যর কাহিনী
মনে পড়লেই ! আক্ষেপ থেকে যায় যে , পাঠক-পাঠিকারা শুনতে পায় না বুকে সে আঘাতের পবিত্রতার
সুর !
শুনেছি , হাজারদুয়ারী প্যালেসের ভিতরে রাতের
বেলায় নাকি ঘুঙরুর আওয়াজ শোনা যায় ৷ ঐ আসল৯০০+নকল১০০ দরজার রাজবাড়ীর মধ্যে অবস্থিত
দরবার হলের ভাস্কর্য শিল্পের মহিমা নিজের ঠোঁটে আওড়াতে পারিনি ৷ কখনও দেখতে পাইনি আমার
অতি পরিচিত পুরোনো ইঁটের দেওয়ালের ওপর হেঁটে যাওয়া কোনো ছায়ামূর্তিকে ৷ লালবাগের প্রতিটা
গলি পাশাপাশি , যেন তারা একই মায়ের পেটের সন্তান , তারা সকলে নবাব –মুর্শিদাবাদের গর্ভে
৷ যারা এই গলি দিয়ে চলাফেরা করে , তারা বোধহয় খুঁজছে সেই ঘোড়াটিকে যে সিরাজের লাশ নিয়ে
ঘুরছে এখনও-তখনও-কখনও !
মুর্শিদাবাদে আছে ইতিহাসের এক-একটি পাঁজর দিয়ে
গড়া ত্রিপোলিয়া গেট , দক্ষিণ দরজা –যার তলা দিয়ে সহজে গলে যাবে নবাবদের দেখতে আসা কয়েকজোড়া
চোখ ৷ হুসেন ফিরবে না –ফিরবে না মুসলিমদের
গিরগিটি না মারার রীতি ! গিরগিটি ? থাক রহস্য. . . মুর্শিদাবাদ তো জানে , সবাই যদি
‘নাও’ বলে রহস্যের ডালি উন্মোচন করে , তবে ইমামবাড়ায় নবাব-বেগমদের সাথে বসে মহরমের
শোকযাত্রা দেখার জন্য উপরের ব্যালকনিতে টিকিট বিক্রী হবে না ৷ ওঁরা যে বড্ড একা -ওঁদের
পুত্র-কন্যারাও খুব একা ৷ বিদীর্ণ বুকে তো কেবলই ধাক্কা দিতে থাকে – “এই বেদনার ইতিহাস
শুনেছো কি / দেখেছো কি মানুষের অশ্রু / শিশিরে-শিশিরে ঝরে ৷”
No comments:
Post a Comment