অসাড় ঐ বেলে-গাছটি
অঙ্কুর কুন্ডু
কুহু বসন্ত ফেরাতে পারেনি এ বছর
; বদলে বদলেছে কুহুর ডাল , কুহুর দাঁড়ানোর জন্য এলিয়ে থাকা জমি ! অনাবিল আনন্দে বছরের পর বছর-
দুই বছর বেলগাছের ফুটো পাতার আড়ালে দু’হাত তুলে এক্সারসাইজ্ করতো যথাসময়ে ,আপ্রাণ বয়ে যেত নদী শ্যাওলা সুখে
; মাঝে-সাঁঝে কুহুর কলতান্ কষ্ট ঝরাতো নিশ্চয়- তবে বসন্তের যা বরাত্ তাতে সে কষ্ট দু’বার করে এসে দেখা দিত বছরে !
ফি-সপ্তাহেই বেলপাতার আনাচে-কানাচে উঁকি মারবে ভেবেও বসন্ত ৩০৫-৩০৬ দিনই ব্যর্থ হয়- তবে যখন দেখার সময়
পায় তখন কুহুর থুতু-কফ- এই জাতীয় বর্জ্য
পদার্থের কিচির-মিচির কন্ঠকে ছড়িয়ে দেয় নিজের ফুরফুরে হাওয়ায়
; সকালে বসন্ত যখন কুহুর পাশ দিয়ে যায় তখন কুহু অপ্রস্তুত অবস্থায় নিজের
বসন সামলায় ; তবে অধিকাংশ খাঁজ রান্নাঘরের বাসন ঢাকা দিতে পারে
না- আকৃতিদোষে !
শীতের ভয়ে বসন্ত এ’বছর বেলা করেই বেরিয়েছিল ;
সে জানতো আজ সব খাঁজে শীত ঢুকেছে- তাই খাঁজগুলো
বুজেছে বেলগাছটি ! আর .. , আর- তারও অতলে ফুটো পাতা !